মোবাইলে তোলা একটি ভিডিও ক্লিপিংস। দেখে মনে হচ্ছে কোনও চলন্ত ট্রেনের শৌচাগার। ক্যামেরার দিকে মুখ এক মহিলার। স্থির ও দৃঢ় গলায় তিনি বলছেন, ‘‘আমার বাবা, ভাই আমাকে মারতে চান। তাই আমাকে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’ মাউথপিসটা আরও একটু মুখের কাছে এনে আবার বললেন, ‘‘আমার কিছু হলে এরাই তার জন্য দায়ী। আমি ইমরানকে বিয়ে করতে চাই।’’
বেশ কিছু দিন ধরেই এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বাঁচানো যায়নি ভিডিওর সামনে আসা যুবতীকে। সিকান্দ্রা রাওয়ের নৌরঙ্গাবাদ এলাকায় ১৮ অগস্ট তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
যুবতীর নাম সোনি। বয়স ২৪ বছর। মুম্বইয়ে বাবা-ভাই ও অন্য আত্মীয়দের সঙ্গে থাকতেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভিডিওটির কথা জানাজানি হলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি।
মামাতো ভাই ইমরানকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন সোনি। কিন্তু পরিবারের তাতে আপত্তি। সেই আক্রোশ থেকেই হয়তো তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা। কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে সোনির? সেই নিয়ে ধোঁয়াশা বিস্তর। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার আগে কিছু বলতে পারছে না পুলিশ।
ভিডিওটির সূত্র ধরেই সোনির গ্রামে হানা দেয় পুলিশ। তাঁর পরিবারের ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়। তবে তারা সকলেই পলাতক।
গ্রামবাসীদের বক্তব্যে আরও বিভ্রান্তি ছড়ায়। তারা বলে, মারা যাওয়ার কয়েক দিন আগেই পরিবারের সঙ্গে গ্রামে আসেন সোনি। গত শুক্রবার তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়, তিনি মারা গিয়েছেন। কেন কী ভাবে কিছুই বলা হয়নি।
ঘটনার তদন্তে মুম্বইয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভিডিওটি কবে কোথায় তোলা হয়েছে তা নিয়েও ধন্দে তারা।