মহারাষ্ট্র বোর্ডের প্রকাশ করা দ্বাদশ শ্রেণির সমাজবিজ্ঞানেরপাঠ্যবইয়েতৃতীয় অধ্যায়ে লেখা ছিল—যদি কোনও বিবাহযোগ্যা নারী দেখতে কুৎসিত এবং বিশেষভাবে সক্ষম হন। সে ক্ষেত্রে তাঁকে বিয়ে দেওয়াটা মুশকিলের হয়ে দাঁড়ায়। তখন পাত্রপক্ষের তরফে পণ চাওয়া হয়। এবং কন্যাপক্ষ পণ দিতে বাধ্য হন।
সমাজের একটা কলঙ্কিত দিক নিয়ে লেখার সময় আরও যত্নবান হওয়া উচিত ছিল বলে এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন মহারাষ্ট্রের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী বিনোদ তাবড়ে।
দিল্লির বহু স্কুলেচতুর্থ শ্রেণির পরিবেশ বিদ্যার বইয়ে ‘লিভিং থিং’ এবং ‘নন লিভিং থিং’ বিষয়টি বোঝানো হয়। আর সেখানেই একটি নিশ্চিদ্র বাক্সে বিড়ালছানাকে ঢুকিয়ে দিয়ে অপেক্ষা করার কথা বলা। যতক্ষণ না বিড়ালছানাটি মারা যায়, ততক্ষণ অপেক্ষা করার নিদানও দেওয়া হয় সেখানে।
ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান অ্যানিমেল প্রোটেকশন অর্গানাইজেশন পাঠ্যবইয়ে প্রকাশিত এমন তথ্যের বিরোধিতা করে। এর পরেই ধীরে ধীরে বহু স্কুল থেকে এই পাঠ্য বিষয়বস্তু সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
মহারাষ্ট্র বোর্ডে ভুগোল বইয়ের একটি মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশকে চিনের অংশ বলে দেখানো হয়েছিল। যা নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি।
বোর্ডের তরফে এ বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়।
২০১৪ সালে গুজরাতের সরকারি স্কুলের পাঠ্যবইয়েও ছিল এমন বিতর্কিত কিছু তথ্য। সরকারি স্কুলের ক্লাস সেভেনের সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্যবইয়ে বলা হয়েছিল— দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করেছিল।
এমনকী ওই একই পাঠ্যবইয়ে মহাত্মা গাঁধীর মৃত্যুদিবসটিও ভুল ছাপা হয়েছিল।
রাজস্থান শিক্ষা দফতর থেকে প্রকাশিত নবম শ্রেণির হিন্দি পাঠ্যবইয়ে লেখা ছিল—‘স্ত্রীর থেকে গাধারা ভাল। কারণ গাধাকে খাবার খাওয়ালে সে সারাটাদিন ধরে কাজ করে। প্রভুর কথার অবাধ্য হয় না। এমনকী কোনও অভিযোগ করে না। কিন্তু স্ত্রীরা তা করে থাকে।’
রাজস্থানের শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর এআর খান এই পাঠ্য বিষয়বস্তুর স্বপক্ষে যুক্তি দেনযে, মজাচ্ছলেইএই তুলনা টানা হয়েছিল। পরে এই বিষয়টি পাঠ্যবই থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।