সেই কার্টুন। ছবি: টুইটার
বাঘের হাতে পদ্মফুল। গলায় একটি ঘড়ি।
ব্যঙ্গচিত্র টুইটারে পোস্ট করে শিবসেনার সঞ্জয় রাউতের উক্তি: ‘‘বুরা না মানো, দিওয়ালি হ্যায়।’’ ছবিটা অর্থবহ। কারণ, ওই এক ব্যঙ্গচিত্রে বিজেপির প্রতি কড়া বার্তা লুকিয়ে। বাঘ শিবসেনার প্রতীক। তার হাতে বিজেপির প্রতীক পদ্মফুল। কিন্তু গলায় যে-ঘড়ি, সেটি শরদ পওয়ারের এনসিপির প্রতীক। এর অর্থ কী? চাইলে শিবসেনা এনসিপির সঙ্গেও জোট করে সরকার গড়তে পারে?
পওয়ারের ৫৪, কংগ্রেসের ৪৪ আর শিবসেনার ৫৬ মিলে অনায়াসে ছাপিয়ে যাওয়া যায় ম্যাজিক সংখ্যা। বিজেপির দরকারই নেই। হুমকি দিতে শুরু করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর সঙ্গে নাকি অমিত শাহের পাকা কথা হয়েছিল যে, বিজেপি ও শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী হবে আড়াই বছর করে।
উদ্ধব-পুত্র আদিত্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন, এই প্রচার ভোটের আগেই করেছে শিবসেনা। আজ আদিত্যের কেন্দ্র ওরলিতে পোস্টার পড়েছে, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’-তেও বিজেপির ‘অহঙ্কার’-কে কটাক্ষ করে তারিফ করা হয়েছে শরদের। মুখপত্রের প্রথম নিবন্ধে ‘মহারাষ্ট্রে মহাজনাদেশ’ লিখে ‘মহা’ শব্দটি কেটে দেওয়া হয়েছে। সম্পাদকীয় স্তম্ভে বলা হয়েছে, ‘‘অতি-আত্মবিশ্বাস, ঔদ্ধত্য এলে শেষ হয়ে যাবে।’’ দলের নেতারা শোনাচ্ছেন, মহারাষ্ট্রে বিজেপির সদস্য-সংখ্যা ১ কোটি ৪৮ লক্ষ। কিন্তু বিজেপি ভোট পেয়েছে ১ কোটি ৪২ লক্ষ! পি চিদম্বরমের অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হয়, ‘‘মানুষ ক্ষমতা ফিরে পাচ্ছেন।’’
আজ এনসিপির ছগন ভুজবলও উস্কে দেন শিবসেনাকে। বলেন, ‘‘ওরাই ঠিক করুক, মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই, নাকি উপমুখ্যমন্ত্রীতে সন্তুষ্ট?’’ তার মানে কি এনসিপি-ও জোটের বার্তা দিচ্ছে শিবসেনাকে? শরদ অবশ্য বলেন, ‘‘জনতা আমাদের বিরোধী আসনে বসার সুযোগ দিয়েছে, সরকার গড়ার নয়। ফলে আমাদের ভূমিকা দক্ষতার সঙ্গে পালন করব।’’ মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সভাপতি বালাসাহেব থোরাট বলেছেন, ‘‘শিবসেনার থেকে কোনও প্রস্তাব আসেনি। যদি আসে, দিল্লিতে কথা বলতে হবে।’’
বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের যদিও মত, চাপের রাজনীতি করছেন উদ্ধব। হরিয়ানায় ৩১ বছরের দুষ্মন্ত চৌটালা উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চলায় ২৯ বছরের আদিত্যের জন্য সেই পদ চাওয়া হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। সূত্রের দাবি, অমিত আজ ফোনে উদ্ধবকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, দীপাবলির পরে দফতর নিয়ে কথা হবে।