সংসদে দলনেতার পদ থেকে সঞ্জয় রাউতকে সরাল একনাথ শিন্ডের শিবসেনা। ফাইল চিত্র।
সংগঠনে বদল এসেছিল আগেই। এ বার শিবসেনার সংসদীয় দল থেকেও উদ্ধব ঠাকরের ঘনিষ্ঠ নেতাদের সরানোর তোড়জোড় শুরু করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। এত দিন সংসদে শিবসেনার নেতা ছিলেন সঞ্জয় রাউত। তাঁকে সরিয়ে আনা হল একনাথ শিন্ডেপন্থী নেতা, লোকসভার সাংসদ গজানন কীর্তিকরকে। এই বিষয়ে শিবসেনার সংসদীয় দলের তরফে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদের তিন তলায় শিবসেনার সংসদীয় অফিসে নতুন দলনেতা কীর্তিকরকে সম্বর্ধনা জানানো হয়। নির্বাচন কমিশনের রায়ে অবশ্য ‘প্রকৃত’ শিবসেনা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে শিন্ডেগোষ্ঠীই। আপাতত কমিশনের দেওয়া অস্থায়ী নাম এবং প্রতীক নিয়েই চলতে হচ্ছে বালাসাহেব-পুত্র উদ্ধব এবং তাঁর অনুগত শিবিরকে। যদিও সুপ্রিম কোর্টে এখনও এই বিষয়টির ফয়সলা হয়নি। বিধানসভা এবং বিধান পরিষদে তো বটেই, সংসদেও অধিকাংশ সদস্যই আনুগত্য বদলে শিন্ডেশিবিরে গিয়ে ভিড়েছেন। লোকসভায় শিবসেনার ১৮ জন সাংসদের মধ্যে মাত্র ৪ জন ঘোষিত উদ্ধবপন্থী। তাই সংসদীয় দলকে উদ্ধবের প্রভাবমুক্ত করা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা বালাসাহেবের আদর্শের সঙ্গে প্রবঞ্চনা করে বিরোধী কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে জোট গড়েছে— এই অভিযোগ তুলে গত জুলাই মাসে দল ছেড়েছিলেন একনাথ। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ককে নিয়ে দল ছেড়ে দিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলান তিনি। আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর গদি ছাড়েন উদ্ধব। বিজেপির সমর্থনে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ। উপমুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস।