বিজেপিকে কটাক্ষ শিবসেনার। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে টানাপড়েন অব্যাহত। তার মধ্যেই ভোটের শরিক বিজেপিকে বিঁধল শিবসেনা। উৎসবের মরসুমেও দেশের ঝিমিয়ে থাকা অর্থনীতি নিয়ে মোদী সরকারকে একহাত নিয়েছে তারা। ‘শোলে’ ছবিতে একে হাঙ্গলের সেই বিখ্যাত সংলাপ তুলে ধরে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে, ‘ইতনা সন্নাটা কিউঁ হ্যায় ভাই?’
চলতি অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে এসে ঠেকেছে। দেশজুড়ে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। এমনকি উৎসবের মরসুমেও বিক্রিবাটা বন্ধ বলে অভিযোগ উঠে এসেছে ব্যবসায়ী মহল থেকে।
এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেছে শিবসেনা। সোমবার দলের মুখপত্র ‘সামনা’র একটি প্রতিবেদনে বিজেপির উদ্দেশে ‘শোলে’র ওই বিখ্যাত সংলাপ ছুড়ে দেয় তারা। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জিনিসপত্রের বিক্রিবাটা ৩০-৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে। অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে সর্বত্র। শিল্পক্ষেত্রই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কিছু কল-কারখানা। তাতে বেড়ে গিয়েছে বেকারত্বও।’
আরও পড়ুন: একসঙ্গে নয়, মহারাষ্ট্রে রাজ্যপালের সঙ্গে আলাদা ভাবে দেখা করল বিজেপি-শিবসেনা
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বাড়তি সঞ্চয়ে ভাগ বসানো নিয়ে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মোদী সরকারকে। সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে ‘সামনা’য়। তাতে বলা হয়, ‘পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঞ্চয়েও ভাগ বসাতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। দীপাবলির বাজারেও চারিদিক নিস্তব্ধ। অথচ অনলাইন বিপণন সংস্থার মাধ্যমে বিদেশি সংস্থাগুলি নিজেদের পকেট ভরছে।’ দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য মোদী সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্তকেও দুষেছে শিবসেনা।
আরও পড়ুন: মহিলাদের নিরাপত্তায় এ বার দিল্লির বাসে ১৩ হাজার মার্শাল, ঘোষণা কেজরীবালের
সদ্য সমাপ্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ম্যাজিক সংখ্যা পেরোতে পারেনি বিজেপি। ১০৫টি আসনে জয়ী হয়েছ তারা। শিবসেনার সাহায্য ছাড়া সরকার গঠন অসম্ভব তাদের পক্ষে। সুযোগ বুঝে নিজেদের দাবি-দাওয়া একধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছে শিবসেনা। ৫০:৫০ ফর্মুলার পক্ষে সওয়াল করছে তারা। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আড়াই বছর নিজেদের প্রতিনিধিকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চায় তারা। এখনও পর্যন্ত সে নিয়ে কোনও সমঝোতা হয়েছে কি না, জানা যায়নি। তার মধ্যেই ‘সামনা’য় প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে দু’পক্ষের মধ্যে সমীকরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।