বাঁ দিক থেকে, মিলিন্দ দেওরা এবং অশোক চহ্বাণ। — ফাইল চিত্র।
ঠিক এক মাস আগে কংগ্রেস ছেড়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ইউপিএ জমানার সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিলিন্দ দেওরাকে এ বার মহারাষ্ট্রের আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রার্থী করল শিন্ডেসেনা। অন্য দিকে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসাবে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি।
মুম্বই দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র থেকে এক সময় টানা জিততেন মিলিন্দের বাবা প্রয়াত মুরলী দেওরা। গুজরাতি জনগোষ্ঠীর ওই প্রভাবশালী নেতা একাধিক বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর ছেলে মিলিন্দও বেশ কয়েক বার ওই লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভায় তিনি হেরে যান শিবসেনা প্রার্থী অরবিন্দ সবন্তের কাছে। অরবিন্দ শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবিরেই রয়ে গিয়েছেন। ফলে ‘মহাবিকাশ অঘাড়ি’ জোটের হয়ে আগামী লোকসভা ভোটে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কার্যত নিশ্চিত।
এই পরিস্থিতিতে জল্পনা ছিল, আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপি এবং এনসিপি (অজিত পওয়ার) সমর্থিত শিন্ডেসেনার প্রার্থী হিসাবে লড়বেন মিলিন্দ। কিন্তু বুধবার তাঁর নাম ঘোষণায় বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই। অন্যদিকে, মঙ্গলবারই মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে। বুধবার প্রার্থী হিসেবে তাঁর পাশাপাশি আর এক কংগ্রেসত্যাগী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ রানে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরনের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্রের পাঁচটি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন। পরিষদীয় পাটিগণিতের হিসাবে ক্ষমতাসীন বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি(অজিত)-এর তিন এবং বিরোধীদের দু’টি আসন পাওয়ার কথা। কিন্তু ক্ষমতাসীন শিবির চার আসনে প্রার্থী দেওয়ায় আবার বিধায়ক কেনাবেচার রাজনীতি শুরু হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।