গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
দোষ করলে তাঁর নিজের দলের নেতাও ছাড় পাবেন না বলে জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। সেই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুম্বইয়ের বিএমডব্লিউকাণ্ডে জামিন পেলেন শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার নেতা রাজেশ শাহ। ১৫ হাজার টাকার বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
রবিবারই ‘শিন্ডেসেনা’র নেতা রাজেশের পুত্র মিহির শাহের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক মহিলার। নিহত মহিলার নাম কাবেরী নাকভা। মাছ কিনতে স্বামী প্রদীপ নাকভার সঙ্গে স্কুটারে চড়ে বাজারে বেরিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের স্কুটারেই ধাক্কা মারে মিহিরের বিএমডব্লিউ গাড়িটি। প্রদীপ ছিটকে পড়েন। কিন্তু কাবেরীকে রাস্তা দিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ টানতে টানতে নিয়ে যায় গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশকে প্রদীপ জানিয়েছিলেন, ঘটনার সময় মিহিরই গাড়ির চালকের আসনে বসেছিলেন এবং মত্ত অবস্থায় ছিলেন। তবে একই সঙ্গে প্রদীপ এ-ও বলেছিলেন, ‘‘অভিযুক্তদের শাস্তি হবে না। কারণ, তাঁরা প্রভাবশালী।’’
পলাতক মিহির যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন, তাই নোটিস জারি করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগে রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছিল মিহিরের বাবা রাজেশকে। সোমবার রাজেশকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠায় মুম্বইয়ের নগর আদালত। কিন্তু অনতিবিলম্বেই ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ‘প্রভিশনাল’ জামিন পেয়ে যান রাজেশ। ওই ঘটনায় একনাথের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। একনাথ সোমবার বলেছিলেন, ‘‘আমি যত দিন মুখ্যমন্ত্রী থাকব, কেউ ছাড় পাবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জ়িরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী।’’ কিন্তু রাজেশের জামিনের পরে মহারাষ্ট্রের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বলতে শুরু করেছে, অভিযুক্ত পলাতক। আর তদন্তে অসহযোগিতা করা সত্ত্বেও তাঁর বাবাকে জামিন দেওয়া হল। অতঃপর সেই ‘প্রভাবশালী তত্ত্ব’ই সত্যি বলে প্রমাণিত হচ্ছে।