ঠাণেতে বিজেপির এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল শিন্ডে সেনার বিরুদ্ধে। ছবি: প্রতীকী
জোট বেঁধে সরকার গড়েছে তারা। তবুও বার বার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে বিজেপি এবং শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠী। এ বার ঠাণেতে বিজেপির এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল শিন্ডে সেনার বিরুদ্ধে। একটি ব্যানার টাঙানো নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। তা থেকে হাতাহাতি। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীর মারধরের জেরে আহত হয়েছেন তিনি। তাঁর শরীরে রক্ত লেগে রয়েছে। দু’পক্ষই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ মারধরের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না। তার পরেই একাংশের প্রশ্ন, তবে কি মহারাষ্ট্রের শাসক জোটে ফাটল! বিজেপির হাত কি ছেড়ে দেবে শিন্ডে-সেনা!
সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, কয়েক জন একটি প্ল্যাকার্ড টাঙানোর চেষ্টা করছেন। তখনই শুরু হয় হাতাহাতি। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক জনকে মারধর করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তি মাটিতে পড়ে রয়েছেন। তাঁকে লাঠি দিয়ে মারধর করছেন বাকিরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠাণের ওয়াগ্ল এস্টেটে পরবওয়াড়িতে ব্যানার লাগানো নিয়ে বিজেপির প্রশান্ত জাধবের সঙ্গে শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠীর ঝামেলা শুরু হয়। পুলিশকে এই নিয়ে জানানোর পর তারা দুই গোষ্ঠীকেই হুঁশিয়ারি দেয়। এর পর শুক্রবার সন্ধ্যায় ফের প্রশান্তের উপর চড়াও হন কয়েক জন। মারধর করেন। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। শিন্ডে গোষ্ঠীর প্রাক্তন কর্পোরেটর বিকাশ রেপালে এবং নম্রতা ভোসালের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির মহিলা মোর্চা আগুনে ঘি ঢেলেছে। তাদের তরফে টুইটারে লেখা হয়েছে, ‘‘বন্ধুত্বকে বন্ধুত্ব, মারকে মার, রক্তকে রক্ত দিয়ে জবাব।’’
এই ঘটনায় ওয়াগলে এস্টেট ডিভিশনের অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার গজানন কাবদুলের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি বিধায়ক নিরঞ্জন দাভখারে এবং সঞ্জয় কেলকার। বিজেপি অভিযোগ করেছে, পুলিশ তাদের অভিযোগ নিয়ে নিষ্ক্রিয়। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই পক্ষই চাপ দিচ্ছে।