Ranya Rao Gold Smuggling

তিনি নির্দোষ, ফাঁসানো হচ্ছে! দাবি রান্যার, জেরার সময় ভেঙে পড়লেন কন্নড় অভিনেত্রী

গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে ১২ কোটি টাকার সোনা-সহ গ্রেফতার হয়েছেন রান্যা। অভিনেত্রীর গ্রেফতারির পর থেকেই নানা প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে, জল্পনাও চলছে বিস্তর।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৫ ১৬:২৮
Share:
কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। ছবি: সংগৃহীত।

কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। ছবি: সংগৃহীত।

তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কন্নড় অভিনেত্রী এমনই দাবি করেছেন বলে সূত্রের খবর। শুধু তা-ই নয়, জেরার সময় তিনি ভেঙে পড়েন বলেও ওই সূত্রের দাবি।

Advertisement

গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১২ কোটি টাকার সোনা-সহ গ্রেফতার হয়েছেন রান্যা। অভিনেত্রীর গ্রেফতারির পর থেকেই নানা প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে, জল্পনাও চলছে বিস্তর। অভিনেত্রীকে নিজেদের হেফজাতে রেখে জেরা করছে রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ (ডিআরআই)।

সূত্রের খবর, জেরায় অভিনেত্রী তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, ১৭টি সোনার বার তাঁর কাছে ছিল। শুধু দুবাই নয়, ইউরোপ, আমেরিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার বহু দেশে তিনি যাতায়াত করেছেন। তবে তদন্তকারীদের এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে যে, অভিনেত্রী কি সত্যিই অজান্তে এই পাচারচক্রের ফাঁদে পড়েছেন, না কি তিনি সরাসরি এই চক্রের সঙ্গেই জড়িত? তদন্তকারীরা এটাও মনে করছেন, অভিনেত্রী যদি সত্যিই ফাঁদে পড়ে থাকেন, তা হলে এই চক্রের নেপথ্যে কে বা কারা এবং কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি এই ফাঁদে পড়েছেন, সেই তথ্য অবশ্যই তদন্তকারীদের সামনে তুলে ধরবেন।

Advertisement

সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের মধ্যে যে বিষয়টি নিয়ে আরও সংশয় তৈরি হচ্ছে তা হল, সম্ভ্রান্ত এবং বিত্তশালী পরিবারের এক জন সদস্য হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে পাচারচক্রের কাজে জড়িয়ে পড়লেন? তাঁর স্বামী যতীন হুক্কেরিও ব্রিটেনের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিক। আর এখানেই বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। তা হলে কি ঘনিষ্ঠ বৃত্তেরই কেউ অভিনেত্রীর এই ঘটনায় জড়িত? ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে ডিআরআই। অভিনেত্রীর সঙ্গে নিয়মিত যাঁরা যোগাযোগ রাখতেন তাঁদের একটা তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সোনা পাচারের সঙ্গে তাঁদের কারও যোগ রয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হবে বলে সূত্রের খবর। এ ছাড়াও অভিনেত্রীর গত দু’বছরের ব্যাঙ্কের নথি এবং লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement