Ranya Rao Gold Smuggling

৪৫ দেশে ভ্রমণ! সোনা পাচারে ধৃত রান্যার ঘন ঘন বিদেশযাত্রা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের, রয়েছে আরও প্রশ্ন

বুধবার সকালে দুবাই থেকে সোনা পাচারের অভিযোগে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন এই কন্নড় অভিনেত্রী। বিমানবন্দর থেকে বার হওয়ার মুখে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর পোশাকের তলা থেকে ১৪ কেজির বেশি সোনা উদ্ধার হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৫ ১৪:৪৬
Share:
DRI said that Ranya Rao visited more than 45 countries

কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। —ফাইল চিত্র।

কেন এত ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ? কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাওকে সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতারির পর উঠছে এই প্রশ্নই। ‘ডায়রেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স’ বা রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের (ডিআরআই) আধিকারিকেরা অভিনেত্রীর পাসপোর্ট ‌খতিয়ে দেখে জানতে পেরেছেন তাঁর বিদেশযাত্রার ইতিহাস! তদন্তকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, রান্যা শুধু দুবাইয়েই ২৭ বার গিয়েছেন। শুধু দুবাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে তাঁর। অভিনেত্রীর পাসপোর্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, রান্যা ৪৫টিরও বেশি দেশে গিয়েছেন!

Advertisement

তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত অভিনেত্রীর এত ঘন ঘন বিদেশযাত্রার কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি, তাঁর হাতে অনেক সিনেমাও নেই, যার জন্য এত দেশে যেতে হবে তাঁকে! শুধু তাঁর বিদেশযাত্রার ইতিহাস নয়, অভিনেত্রীর সোনা পাচারের ঘটনায় উঠছে আরও কিছু প্রশ্ন। সোনা পাচারে রান্যাকে সাহায্য করতেন কে? নেপথ্যে কি কোনও চক্র রয়েছে? জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কতটা উদ্বেগের? এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে অভিনেত্রীকে।

বুধবার সকালে দুবাই থেকে সোনা পাচারের অভিযোগে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন এই কন্নড় অভিনেত্রী। বিমানবন্দর থেকে বার হওয়ার মুখে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর পোশাকের তলা থেকে ১৪ কেজির বেশি সোনা উদ্ধার করেন ডিআরআই আধিকারিকেরা। প্রথমে তল্লাশি করতে দিতে রাজি ছিলেন না তিনি, কিন্তু গোয়েন্দারা জোর করেই তল্লাশি চালান। রান্যার জামা এবং বেল্টের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে কেজি কেজি সোনা!

Advertisement

প্রসঙ্গত, রান্যার বাবা রামচন্দ্র রাও এক জন আইপিএস অফিসার। বছর কয়েক আগে ম্যাইসুরুতে একটি সোনা পাচারের মামলায় নাম জড়িয়েছিল তাঁরও। এ বার ওই অফিসারের কন্যাই ধরা পড়লেন সোনা পাচার মামলায়। সূত্রের খবর, সোনা পাচারের জন্য বেশ কয়েকটি কৌশল ব্যবহার করতেন রান্যা। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সোনা পাচারের জন্য রান্যা বিশেষ ভাবে পোশাক তৈরি করাতেন। এমন বেশ কয়েকটি জ্যাকেট বানিয়েছিলেন তিনি, যেগুলিতে সহজেই নজর এড়িয়ে সোনা পাচার করা যায়। এমনকি বিশেষ ধরনের ‘রিস্ট বেল্ট’ পরতেন তিনি। তাতে করেও সোনা পাচার করতেন বলে তদন্তকারীদের এক সূত্রের দাবি। তবে পুলিশের অনুমান এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। অভিনেত্রীকে জেরা করে সেই সব নামই বার করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। অভিনেত্রীকে জেরা করে তাঁরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন, সোনা পাচারের জন্য নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক পেতেন। প্রতি কেজি সোনার জন্য ছিল এক লক্ষ টাকার বাঁধা পারিশ্রমিক!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement