নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীরা।
নীতি আয়োগের পরিচালন পর্ষদের সপ্তম বৈঠকে মিশ্র দাবিদাওয়া উঠে এল। কংগ্রেস শাসিত ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল কেন্দ্রীয় করে রাজ্যের পরিমাণের অংশ বাড়ানোর অনুরোধ জানান। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক আবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি রূপায়ণের ক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্য বিরোধ দেখা দিলে তার নিষ্পত্তির জন্য সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার জন্য নীতি আয়োগকে অনুরোধ জানান।
ছত্তীসগঢ় রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, রাজ্যগুলির ব্যয় বেড়ে যাওয়ার দরুন কেন্দ্রের প্রাপ্ত রাজস্ব থেকে রাজ্যের প্রাপ্য অংশ বাড়ানোর দাবি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী বঘেল। একইসঙ্গে পণ্য ও পরিষেবা কর প্রসঙ্গে বঘেল রাজ্যের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সময়সীমা আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর দাবি তুলেছেন। বঘেলের অভিযোগ, নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থায় তাঁর রাজ্য ছত্তীসগঢ়ের প্রাপ্ত রাজস্বের পরিমাণ কমে গিয়েছে।
ছত্তীসগঢ় খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এক রাজ্য। আর প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বঘেল কয়লা-সহ অন্যান্য খনিজ পদার্থে লভ্যাংশের পরিমাণ পুনর্বিবেচনা করার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ জানান। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক জানিয়েছেন, স্বাধীনতার পর থেকেই ওড়িশা অবহেলিত একটি রাজ্য। তাই কেন্দ্রের উচিত এই রাজ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের পর কোভিডের প্রকোপের কারণে নীতি আয়োগের এই বৈঠক ভার্চুয়ালি হচ্ছিল। এই বছর আবারও রাষ্ট্রপতি ভবনের কালচারাল সেন্টারে এই বৈঠক হয়। পদাধিকারবলেই নীতি আয়োগের সভাপতি হলেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্র, রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নানা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য ডাকা এই বৈঠকে কমবেশি সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।