সংসদ ভবন উদ্বোধনকে কটাক্ষ করেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। ছবি: পিটিআই।
দিল্লিতে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার সকাল থেকে তা নিয়ে সাজ সাজ রব রাজধানীতে। সেই অনুষ্ঠানকেই কটাক্ষ করলেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। বললেন, ‘‘আমি খুশি যে ওখানে যাইনি।’’
মোদীর সংসদ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন বিরোধীরা। ২০টি বিরোধী দল অনুষ্ঠানে ছিল গরহাজির। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বহু বিতর্কও দানা বেঁধেছে। তবে তার ফলে উদ্বোধনে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। সংসদ ভবনে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করে বেদমন্ত্র উচ্চারণ এবং সর্বধর্ম প্রার্থনায় অংশ নেন মোদী। স্বর্ণদণ্ড সেঙ্গল স্থাপন করেন লোকসভার স্পিকারের আসনের অদূরে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ওম বিড়লা, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কিছু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।
এই উদ্বোধন প্রসঙ্গে রবিবার পওয়ার বলেছেন, ‘‘সকালের অনুষ্ঠান আমি দেখেছি। আমি যে ওখানে যাইনি তাতে আমি খুশি। ওখানে যা যা হয়েছে, দেখে আমি চিন্তিত। আমরা কি দেশটাকে আরও পিছিয়ে দিচ্ছি?’’
পওয়ারের আরও প্রশ্ন, ‘‘এই অনুষ্ঠান কি শুধুমাত্র কয়েক জন মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল?’’
সংসদ ভবনের উদ্বোধনে রবিবার ছিল পুজো, যজ্ঞ এবং প্রার্থনার আয়োজন। এই সনাতন ধর্মীয় রীতিকেই কটাক্ষ করেছেন পওয়ার। এ ভাবে দেশকে অতীতের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে সকলে প্রাধান্য পাননি বলেও মত তাঁর। সেই কারণেই তিনি জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান দেখে তিনি চিন্তিত। তাঁর আশঙ্কা, রবিবারের অনুষ্ঠানের পর দেশ আরও পিছিয়ে পড়বে।
সংসদ ভবন কে উদ্বোধন করবেন, তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেধেছিল প্রথম থেকেই। বিরোধীদের দাবি ছিল, সাংবিধানিক পদমর্যাদা বলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর উচিত এই উদ্বোধন করা। রাষ্ট্রপতিকে টপকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। সেই বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিরোধীদের দাবি মানা হয়নি।
সংসদ ভবনের স্বর্ণদণ্ড সেঙ্গল নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। বিজেপির দাবি, এই রাজদণ্ড আসলে ব্রিটিশদের ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক। তবে সেই তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। এই বিতর্কেও শাসক এবং বিরোধী শিবির দ্বিধাবিভক্ত। তার মাঝে উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে কটাক্ষ করলেন পওয়ার।