—ফাইল চিত্র।
আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোয় বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে এ বার দ্বিচারিতার অভিযোগ আনলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর দাবি, পূর্বতন ইউপিএ সরকারের আমলেই কৃষি আইনে সংশোধন ঘটানোর প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তখন কেউ টুঁ শব্দটি করেননি। যত প্রতিবাদ এখন।
বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে রাজধানীতে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন কৃষকরা। দিল্লি-হরিয়ানা এবং দিল্লি-পঞ্জাব সীমানাতেও হাজার হাজার কৃষক অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার দেশজুড়ে ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। তাতে সমর্থন জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি।
তা নিয়েই সোমবার সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন রবিশঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘২০১৯ সালে ইংরেজিতে লেখা নির্বাচনী ইস্তাহারে কৃষিপণ্য বিপণন আইন(এপিএমসি) প্রত্যাহার এবং কৃষি-বাণিজ্যকে সবরকম বিধিনিষেধ থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস। হিন্দিতে লেখা ইস্তাহারে আইনে সংশোধন আনার কথা বলা হয়েছিল। ২০১৩ সালে রাহুল গাঁধী নিজে কংগ্রেসশাসিত রাজ্যে ফলমূল এবং শাক-সব্জিকে এপিএমসি-র তালিকা থেকে বাদ দিয়ে খোলা বাজারে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছিলেন।’’
আরও পড়ুন: ব্ল্যাকমেল, দর কষাকষিতে লাভ নেই, নাম না করে শুভেন্দু-বার্তা নেত্রীর
কৃষিক্ষেত্রে কর্পোরেট সংস্থাগুলির অংশগ্রহণের পক্ষে প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী শরদ পওয়ারও সুপারিশ করেছিলেন বলে দাবি করেন রবিশঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘পূর্বতন ইউপিএ সরকার এই একই পরিবর্তন ঘটাতে উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু আমরা তা করে দেখাতেই বিরোধিতা শুরু করে দিয়েছে সকলে। ইউপিএ আমলেই ঠিকা-চাষের পক্ষে সুপারিশ জমা পড়েছিল, কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলি ছাড়াও অন্য অনেক রাজ্যেই এই ব্যবস্থা চালু হয়ে যায়। এখন তারাই বিরোধিতা করছে। এমন দ্বিচারিতার জন্য লজ্জা হওয়া উচিত।’’
আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে মুষ্টিযোদ্ধা বিজেন্দ্র সিংহের মতো অনেকেই ইতিমধ্যে সরকারি পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। তাঁদেরকেও একহাত নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘পুরস্কার নেবেন কী ফিরিয়ে দেবেন, তা ব্যক্তিগত অধিকারের মধ্যে পড়ে। পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়া নতুন কিছু নয়। আগেও এমন ঘটনা দেখেছি। বিহার নির্বাচনের আগেও তা ঘটেছে। কিন্তু নির্বাচন মিটে গেলে ফের ভারত উদার রাষ্ট্র হয়ে গিয়েছে। পুরস্কার ফেরানোর আকুলতাও থেমে গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম ঘোলা জলে মাছ ধরছে, তোপ মমতার
শুধু রবিশঙ্করই নন, বন্ধ সমর্থনকারী সব দলকে ‘ভণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীস।