শাহ ফয়জল। ফাইল চিত্র।
মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাদের পরে শাহ ফয়জ়ল। আজ গৃহবন্দি করা হল সদ্য রাজনীতিতে যোগ দেওয়া এই প্রাক্তন কাশ্মীরি আমলাকেও।
৩৭০ নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের দিনে কাশ্মীরে ছিলেন শাহ। কাল গভীর রাতে দিল্লি থেকে ইস্তানবুল যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। শাহ দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাঁকে সেখানেই পিএসএ (পাবলিক সিকিউরিটি অ্যাক্ট)-তে আটক করা হয়। ফেরত পাঠানো হয় শ্রীনগরে। সেখানেই গৃহবন্দি করা হয় তাঁকে।
সম্প্রতি শাহ অভিযোগ করেন, তাঁর দল পিপলস মুভমেন্ট পার্টির বেশ কিছু সমর্থককে অকারণে আটক করা হয়েছে কাশ্মীরে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন ২০০৯ সালের আইএএস পরীক্ষার এই টপার। গত কালও টুইটারে লিখেছিলেন, ‘‘রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেতে কাশ্মীরিদের এখন দীর্ঘ, অহিংস গণআন্দোলনে শামিল হতে হবে।’’ কেন তিনি তুরস্ক যাচ্ছিলেন, তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন আধিকারিকেরা।
আজ জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এডিজি মুনির খান বলেছেন, জম্মুর ‘কড়াকড়ি’ পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজ খুলেছে। তবে কাশ্মীরের কোনও কোনও এলাকায় সেই কড়াকড়ি বহাল থাকবে কিছু দিন। খুচরো অশান্তিতে কয়েক জনের ছররায় আহত হওয়ার কথা মেনে নিয়েছেন এডিজি। জানিয়েছেন, সেই আহতদের চিকিৎসা হয়েছে। কত জনকে আটক, বলতে চাননি এডিজি। তাঁর যুক্তি, ‘‘এমন পরিস্থিতিতে ‘অন্য রকম’— অর্থাৎ সতর্কতামূলক আটক করা হয়।’’ প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি রোহিত কানসলের আশ্বাস, পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে কিছু এলাকায় কড়াকড়ি শিথিল করা হতে পারে। বিধানসভা ভবনে কাশ্মীরের পতাকা নামানো হয়ে গিয়েছে। কাল থেকে সেখানে শুধুই জাতীয় পতাকা উড়বে।
সংবাদমাধ্যম যাতে সুষ্ঠু ভাবে কাজ করতে পারে, সুপ্রিম কোর্টে সেই আর্জি জানিয়েছিলেন কাশ্মীরের একটি সংবাদপত্রের কার্যনির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন। কাল তাঁর মামলা এবং ৩৭০ ধারার বিরুদ্ধে আইনজীবী এমএল শর্মার মামলা শুনবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।