Terrorist

Al-Badr terrorist: কাশ্মীরে গ্রেফতার আল বদর গোষ্ঠীর সাত জঙ্গি

জম্মু-কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ বা ‘পার্ট টাইম’ জঙ্গিরা এখন নিরাপত্তা বাহিনীর মাথাব্যথার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জম্মু-কাশ্মীর থেকে আজ আল বদর গোষ্ঠীর সাত জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

কাশ্মীরের সোপোরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর উপর জঙ্গিরা হামলা করতে পারে— গোয়েন্দাদের থেকে এমন তথ্য মেলার পর রওচা রফিয়াবাদ এলাকা ঘিরে আজ তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ দল। পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সেই সময়ে আল বদর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত তিন ‘হাইব্রিড’ জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত জঙ্গিদের মধ্যে ওয়ারিস তান্ত্রি রফিয়াবাদের বাসিন্দা, আমির সুলতান ওয়ানি নওপোরার এবং তারিক আহমেদ ভাট চোন্তিপোরা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তিন জঙ্গি স্বীকার করে নিয়েছে, তারা আল বদর গোষ্ঠীর সঙ্গে গত দু’বছর ধরে যুক্ত রয়েছে। ওই তিন জঙ্গি পুলিশকে জানিয়েছে, ইউসুফ বালোউসি ও খুরশিদ নামে অনন্তনাগের বাসিন্দা দুই জঙ্গি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে। ওই দু’জনেই রফিয়াবাদ সোপরে জঙ্গি কার্যকলাপ শুরু করার জন্য তাদের নির্দেশ দিয়েছিল। আল বদর গোষ্ঠীতে যুবকদের যোগ দেওয়ানোর বন্দোবস্ত করতে বলেছিল। এ ছাড়া, জঙ্গি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সদস্যের জন্য পরিকাঠামোগত সুবিধা দেওয়া নতুন যোগদানকারীদের জন্য অস্ত্রের ব্যবস্থা করে দিতেও বলেছিল তারা।

পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ধৃত ওই তিন জঙ্গির থেকে তথ্য মেলার পর অরিন বান্দিপোরা এলাকা থেকে চতুর্থ ‘হাইব্রিড’ জঙ্গি আশরফ নাজ়ির ভাটকে গ্রেফতার করা হয়। সে ওই এলাকারই বাসিন্দা। এর পরেই এদের সঙ্গে যুক্ত অন্য জঙ্গিদের খোঁজ শুরু করে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ দল। পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আল বদরের সঙ্গে যুক্তি তিন ব্যক্তি— মহম্মদ আশরফ মালিক, মহম্মদ আফজল থোকার, সাবির আহমেদ শাহকে পরে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও নগদ টাকা বারামুলা থেকে গ্রেফতার হওয়া এই জঙ্গিদের থেকে পাওয়া গিয়েছে, তাতে স্পষ্ট, বড়সড় হামলার ছক কষছিল তারা। ধৃত সাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। জঙ্গিদের জাল খুঁজে পেতে তদন্ত এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

জম্মু-কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ বা ‘পার্ট টাইম’ জঙ্গিরা এখন নিরাপত্তা বাহিনীর মাথাব্যথার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, এই ধরনের জঙ্গিরা হামলা করার পর আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায়। জঙ্গিদের সম্পর্কে সাধারণ ভাবে যে তথ্য নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে মজুত থাকে, এদের ক্ষেত্রে তা থাকে না। অনেক সময়েই নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে না থাকা এমন জঙ্গিরা বড়সড় হামলা করে
বসে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের বক্তব্য, ২০২১ সালে সাধারণ নাগরিক,
ছুটিতে থাকা পুলিশকর্মী, রাজনৈতিক কর্মীদের উপর বারবার যে হামলা হয়েছে, তার অধিকাংশই এই ‘হাইব্রিড’ জঙ্গিদের কাজ। কাশ্মীর পুলিশের বিজয় কুমারের মতে, সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে ‘হাইব্রিড’ জঙ্গিদের ভূমিকা নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদের চিহ্নিত করাই সমস্যার। ফলে জঙ্গি কার্যকলাপ আটকানোও কঠিন। কাশ্মীর পুলিশ মনে করছে, ২০২২ সালে ‘হাইব্রিড’ জঙ্গিদের মোকাবিলা করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement