আলোর উৎসব ম্লান অনেক জায়গাতেই। ছবি— পিটিআই।
আলোর উৎসবে যখন মাতোয়ারা গোটা দেশ, তখন ইতস্তত বেশ কিছু দুর্ঘটনার খবরে দীপাবলির আলো ম্লান। কোথাও বাজি পোড়াতে গিয়ে প্রাণ গেল শিশুর। আবার কোথাও বাসের মধ্যে প্রদীপ সাজাতে গিয়ে গোটা বাসেই লেগে গেল আগুন। সেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল দু’জনের।
অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনমে বাজি পোড়াতে গিয়ে সেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে একটি ১১ বছরের বালকের। একই রাজ্যে বাজির আগুনে পুড়ে ছাই একটি কাঁচা বাড়িও।
বাজির ফুলকি থেকে রাজধানী দিল্লির গান্ধী নগরে একটি পোশাক তৈরির কারখানায় আগুন লেগে যায়। তিন জন আটকে পড়েন কারখানার ভিতরেই। পরে দমকল গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। সকলেই অল্পবিস্তর আহত। এক দমকলকর্মীও আহত হয়েছেন। একই ভাবে প্রশান্ত বিহার এলাকায় একটি রেস্তরাঁয় আগুন লেগে যায়। তবে কেউ হতাহত হননি। দমকল সূত্রে খবর, দীপাবলিতে মোট ২০১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যা গত বারের চেয়ে ৩২ শতাংশের বেশি।
গ্রেটার নয়ডায় একটি উঁচু বিল্ডিংয়ের ১৬ তলায় বাজি থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। দ্রুত দমকল পৌঁছে পরিস্থিতি আয়ত্বে আনে। হতাহত নেই।
মুম্বইয়ে একটি সাত তলা বাড়িতে বাজি থেকে আগুন লেগে যায়। সেখানেও হতাহতের কোনও খবর নেই।
উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা জেলায় বাজি তৈরির মশলা রাখা ছিল একটি গুদামে। সেখানেই এসে পড়ে বাজির আগুন। তা থেকে অগ্নিকাণ্ড, বিস্ফোরণে ছাদে ফাটল। সেই আগুনে পুড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর সন্তান গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
মহারাষ্ট্রের পুণে শহরে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাজির আগুন থেকে পর পর রাখা সাতটি বাইক পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েক জন।
হায়দরাবাদে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাজি পোড়াতে গিয়ে হায়দরাবাদে চোখ হারিয়েছে একটি শিশু।
ওড়িশার ঢেঙ্কানল জেলায় একটি বাজির দোকানে আগুন লেগে যায়। তাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিন জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
উত্তরপ্রদেশের আগরায় একটি তিন তলা বাড়িতে জ্বলন্ত বাজি গিয়ে পড়ে। আগুন লেগে যায়। এক তলায় থাকা একটি গুদাম সম্পূর্ণ ভস্মীভূত। বন্ধ গুদামে বাজি মজুত করা ছিল বলে অভিযোগ। দমকল দোতলায় থাকা একটি পরিবারকে সুরক্ষিত ভাবে বার করে আনে।
এছাড়াও আরও একাধিক দুর্ঘটনার কথা জানা গিয়েছে। তবে প্রাণহানির খবর নেই।