উত্তরপ্রদেশে লাইনচ্যুত সবরমতী এক্সপ্রেস। —ফাইল চিত্র।
গভীর রাতে লাইনচ্যুত হল সবরমতী এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনের অন্তত ২০টি কামরা বেলাইন হয়ে গিয়েছে বলে খবর। লাইনের উপর থাকা বোল্ডারে ধাক্কা খেয়ে এই দুর্ঘটনা। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। সবরমতী এক্সপ্রেসে ১৩০০ জন যাত্রী ছিলেন।
উত্তরপ্রদেশের কানপুর স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ। ঝাঁসির দিকে যাওয়ার সময় ট্রেনটি আচমকা বোল্ডারে ধাক্কা খেয়ে বেলাইন হয়ে পড়ে। ট্রেনের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চালক। দুর্ঘটনার ফলে সংশ্লিষ্ট লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
বারাণসী থেকে রওনা দিয়েছিল ট্রেনটি। গন্তব্য ছিল আমদাবাদ। উত্তর মধ্য রেলের তথ্য অনুযায়ী, গভীর রাতে রেললাইনের উপর থাকা বোল্ডারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় যাত্রিবাহী ট্রেনটির। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং দমকল। একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রেনের প্রতিটি কামরা ঘুরে দেখেন পুলিশ এবং রেল আধিকারিকেরা। কোথাও হতাহতের কোনও খবর মেলেনি বলে জানিয়েছে রেল।
দুর্ঘটনার ফলে ওই লাইনে ট্রেন চলছে না। একাধিক ট্রেনের গতিপথ বদল করা হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন থেকে যাত্রীদের সরিয়ে কানপুর স্টেশনে পৌঁছনো হয়েছে। তার জন্য বাসের বন্দোবস্ত করেছে রেল। কানপুর থেকে অন্য ট্রেনের মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে যাত্রীদের।
গত কয়েক মাসে পর পর একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনার খবর মিলেছে। গত বছর ওড়িশায় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে ২৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছিল হাজারের গণ্ডি। এর পর উত্তরবঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে মৃত্যু হয় আরও ১০ জনের। রাঙাপানি স্টেশনে পর পর দু’বার লাইনচ্যুত হয় মালগাড়ি। কিছু দিন আগে চক্রধরপুর ডিভিশনের বারাবাম্বু স্টেশনের কাছে হাওড়া থেকে মুম্বইগামী হাওড়া-সিএসএমটি এক্সপ্রেসের ১৮টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। রেল দুর্ঘটনার তালিকা দীর্ঘ হয়েই চলেছে।