National News

দিল্লিতে সাত বছরের শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত পাশের বাড়ির ‘কাকু’

শিশুর মায়ের বক্তব্য, ‘‘মেয়ে বাড়িতে ফেরার পরই দেখতে পাই যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। জিজ্ঞাসা করতেই গোটা ঘটনা খুলে বলে। তারপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করি। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছি আমরা।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:৫৮
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস

বাড়ির কাছেই পার্কে খেলছিল বছর সাতের মেয়েটা। পাশের বাড়ির কাকু এসে বলল, ঘুরতে নিয়ে যাবে। শিশু মন বিন্দুমাত্র বিপদের আঁচ করতে পারেনি বিপদের গন্ধ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটাই হল। সাত বছরের ওই শিশুকে ঝোপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করল ২১ বছরের প্রতিবেশী ‘কাকু’। দিল্লির শাহদারার শ্রীরামপুরী এলাকার এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেফতার অভিযুক্ত।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ির কাছেই খেলছিল ওই শিশুটি। প্রতিবেশী এক ব্যক্তি তাঁকে ডেকে নিয়ে যায় ডিএলএফ চকের কাছে। সেখানে একটি জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

শ্রীরামপুরী থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর শিশুর মায়ের বক্তব্য, ‘‘মেয়ে বাড়িতে ফেরার পরই দেখতে পাই যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। জিজ্ঞাসা করতেই গোটা ঘটনা খুলে বলে। তারপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করি। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছি আমরা।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রেমে প্রত্যাখ্যান, রিয়্যালিটি শোয়ের নৃত্যশিল্পীর উপর অ্যাসিড হামলা

অন্যদিকে দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন এই ঘটনায় একটি টুইট করে বিতর্ক বাধিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ধর্ষণের আগে জলের পাইপ ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ওই শিশুর শরীরে। যদিও তেগ বাহাদুর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যৌনাঙ্গে ক্ষতর কারণেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘নিচু জাত’-এর জামাই খুনে সুপারি ১ কোটি, আইএসআই যোগ!

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরই পকসো আইনে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি গুরু তেগ বহাদুর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ওই শিশুর। প্রাথমিক ভাবে মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে।

(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement