প্রতীকী ছবি
একই পরিবারের ১১ জন সদস্যের ঝুলন্ত দেহ মিলেছিল দিল্লির বুরারিতে। এবার ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতেও বুরারি কাণ্ডের ছায়া। রাঁচিতে একই পরিবারের সাত জন সদস্যের মৃতদেহ মিলল। এঁদের মধ্যে সাত ও চার বছরের দুটি শিশুও রয়েছে।
কাঙ্কে থানা এলাকার এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। রবিবার রাতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, আর্থিক টানাপড়েনের জেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন দীপক কুমার ঝা ও তাঁর পরিবার। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পেলে কিছু নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন রাঁচির এসএসপি অনীশ কুমার গুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘মনে করা হচ্ছে, এটি গণ আত্মহ্ত্যার ঘটনা।’’
পুলিশ জানিয়েছে, দীপকবাবুরা বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। বেসরকারি সংস্থায় সেলসম্যানের কাজ করতেন তিনি। দীপক বাবু ছাড়াও তাঁর দুই শিশুসন্তান, বাবা-মা, স্ত্রী ও এক ভাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। দুজনের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। বাকিদের মৃতদেহ মেলে ঘরের বিছানায়।
আরও পড়ুন: বুরারির মৃত্যুজট খুলতে আত্মীয়দের মনের ময়নাতদন্ত করবে পুলিশ
স্থানীয়দের কথায়, দীপক বাবু একটি ব্যবসা শুরু করতে চেয়েছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তাঁর ভাইয়ের কোনও নিশ্চিত আয় ছিল না। আর্থিক অনটনের সঙ্গে মোকাবিলা করতে না পেরেই পরিবারের সকলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।চলতি মাসের গোড়ার দিকে হাজারিবাগের একটি ফ্ল্যাট থেকে একই পরিবারের ছয় সদস্যের মৃতদেহ মেলে।
আরও পড়ুন: বুরারি কাণ্ডে জেরা প্রিয়ঙ্কার বাগদত্তকে