প্রতীকী ছবি।
ঝাড়খণ্ডে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু’টি আলাদা ঘটনায় জলে ডুবে মৃত্যু হল সাত কিশোরীর। প্রত্যেকেরই বয়স ১০-১৫ বছরের মধ্যে।
মঙ্গলবার সকালে কর্মা পুজো উপলক্ষে গিরিডির পাঁচাম্বা থানা এলাকায় একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল পাঁচ কিশোরী। কিন্তু তারা গভীর চলে যায়। সাঁতার না জানায় চার জনের ডুবে মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় পাঁচাম্বা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গিরিডির ডেপুটি কমিশনার নমন প্রিয়েশ লাকরা জানিয়েছেন, দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
আরও একটি ঘটনায় তিন কিশোরীর জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবারই। সাহেবগঞ্জ জেলার খেরওয়া গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ওই গ্রামের তিন কিশোরী গুমানি নদীতে স্নান করতে গিয়েছিল। নদীতে স্রোত বেশি থাকায় জলের টানে ভেসে যায় তিন জনই। স্থানীয়রা তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পরে ডুবুরি নিয়ে এসে তিন জনের দেহ উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। মৃতেরা হল মান্তাসা পরভিন, সীমা খাতুন এবং সীমন খাতুন।
পুলিশ জানিয়েছে, নদীতে অনেকেই স্নান করছিলেন তখন। কিন্তু ওই কিশোরীরা একটু গভীরে চলে যায়। কিন্তু নদীর জলের টান থাকায় নিজেদের সামলাতে পারেনি। স্থানীয়দের কয়েক জনের চোখে পড়ায় তাঁরা বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।