দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে বিরোধী নেতানেত্রীরা। ছবি: পিটিআই।
বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক নিয়ে এ বার আয়োজক কংগ্রেসের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন জেডি(ইউ) সাংসদ সুশীলকুমার পিন্টু। তাঁর ক্ষোভের মূলে রয়েছে শিঙাড়া! তবে এই বিরোধী সাংসদের ক্ষোভের নেপথ্যে একটি রাজনৈতিক কারণও রয়েছে।
পিন্টু দাবি করেছেন যে, মঙ্গলবারের বৈঠকে বিরোধী নেতানেত্রীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। বৈঠক কেবল চা-বিস্কুটেই সীমাবদ্ধ ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ কোনও আলোচনা হয়নি, এমন দাবির স্বপক্ষেই তিনি শিঙাড়ার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
নীতীশ কুমারের দলের সাংসদ পিন্টু বুধবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “গত কাল (মঙ্গলবার)-এর বৈঠকে বিরোধী জোট নিয়ে আলোচনা করতে বড় বড় নেতানেত্রীরা এসেছিলেন। কিন্তু সেখানে এই বিষয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। গত কালের বৈঠক কেবল চা আর বিস্কুটেই সীমাবদ্ধ ছিল। শিঙাড়া সেখানে ছিল না।”
কংগ্রেস সম্প্রতি দলের আয়বৃদ্ধি করতে জনগণের কাছ থেকে অর্থসাহায্য নেওয়ার কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই ওই সাংসদ বলেন, “এখনও সেই আর্থিক অনুদান আসেনি। তাই শিঙাড়া আর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়েছে।” এই নিয়ে অবশ্য কংগ্রেস এবং বিরোধী জোটকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের নেতা অমিত মালবীয় বলেন, “যত দিন না নীতীশ কুমারকে বিরোধী জোটের প্রধান মুখ হিসাবে ঘোষণা না করা হবে, তত দিন পর্যন্ত এই ধরনের অভিযোগ চলতে থাকবে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে বিরোধী নেতানেত্রীদের একাংশের তরফে যে ভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে, তাতে ‘ক্ষুব্ধ’ নীতীশ। সেই ক্ষোভের প্রতিফলনই দলের সাংসদের কথায় প্রতিধ্বনিত হচ্ছে কি না, তা নিয়েই এখন চর্চা চলছে। যদিও প্রকাশ্যে বার বারই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না।