Asaram Bapu

এক শিষ্যাকে ধর্ষণ করে যাবজ্জীবন খাটছেন, আর এক শিষ্যার ধর্ষণেও একই শাস্তি ‘বাপু’ আসারামকে

৮১ বছরের আসারাম এখন জোধপুর জেলে। সেখান থেকে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে শুনানিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন আসারামের স্ত্রী। তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গান্ধীনগর শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৯
Share:

২০১৩ সালের একটি ধর্ষণের ঘটনায় আসারামকে যাবজ্জীবন দিল গুজরাতের গান্ধীনগরের দায়রা আদালত। — ফাইল ছবি।

এক শিষ্যাকে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন খাটছেন জোধপুরের জেলে। এর মধ্যেই অন্য এক শিষ্যাকে ধর্ষণের দায়েও যাবজ্জীবন হল স্বঘোষিত গুরু আসারাম বাপুর। ২০১৩ সালের একটি ধর্ষণের ঘটনায় তাঁকে এই সাজা দিল গুজরাতের গান্ধীনগরের দায়রা আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে আসারামকে।

Advertisement

৮১ বছরের আসারাম এখন জোধপুর জেলে। সেখান থেকে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে শুনানিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন আসারামের স্ত্রী। তিনি অসুস্থ হয়ে সুরতের হাসপাতালে ভর্তি। তাই দায়রা আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। আসারামের মেয়েও সময়মতো পৌঁছতে পারেননি আদালতে। ফলে সাজা ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় দায়রা বিচারক ডিকে সোনিকে।

সোমবার দায়রা বিচারক ডিকে সোনি ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত করেন আসারামকে। প্রমাণের অভাবে আসারামের স্ত্রী-সহ ৬ জনকে বেকসুর খালাস করে আদালত। আসারামের বিরুদ্ধে আমদাবাদের চাঁদখেরা থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল। সেই এফআইআরে বলা হয়েছিল, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ওই শিষ্যাকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছিলেন আসারাম। আমদাবাদ শহরের উপকণ্ঠে তাঁরই আশ্রমে থাকতেন নির্যাতিতা। সোমবার সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ২(সি) (ধর্ষণ), ৩৭৭ (অস্বাভাবিক অপরাধ) ধারায় আসারামকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বেআইনি ভাবে আটকে রাখার অভিযোগেও তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।’’

Advertisement

২০১৩ সালের অক্টোবরে আসারাম এবং ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন সুরতের এক মহিলা। অভিযোগ করেন, তাঁকে জোর করে আটকেও রাখা হয়েছিল আশ্রমে। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। বিচার চলাকালীন এক অভিযুক্ত মারা গিয়েছেন। এ বার আসারামকে যাবজ্জীবন দিল আদালত। বাকি ৬ জন খালাস পেয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement