Jayalalithaa Seized Assets

স্বর্ণমুকুট থেকে শুরু করে সোনার তলোয়ার! কোর্টের নির্দেশে স্ট্যালিন সরকার পেল জয়ললিতার সম্পত্তি

জয়ললিতার মামলায় বাজেয়াপ্ত হওয়া ২৭কেজি সোনা রাখা ছিল কর্নাটক প্রশাসনের কোষাগারে। আদালতের নির্দেশে সেই বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি এ বার যাচ্ছে তামিলনাড়ু সরকারের হাতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৭
Share:
(বাঁ দিকে) তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা এবং বাজেয়াপ্ত স্বর্ণমুকুট (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা এবং বাজেয়াপ্ত স্বর্ণমুকুট (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জে জয়ললিতার বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি অবশেষে ফেরত পেল তামিলনাড়ু সরকার। তালিকায় রয়েছে স্বর্ণমুকুট, সোনার তলোয়ার থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন ধরনের সম্পত্তি! প্রয়াত এআইএডিএমকে নেত্রী জয়ললিতার ২৭ কেজি সোনা এবং হিরের গয়না কর্নাটক প্রশাসনের কাছে গচ্ছিত ছিল। বেঙ্গালুরুর এক আদালত গত বছরেই নির্দেশ দেয়, সেগুলি ফিরিয়ে দিতে হবে তামিলনাড়ু সরকারের কাছে।

Advertisement

তবে ওই সম্পত্তির দাবিদার কে, তা নিয়ে মামলাও হয় আদালতে। তাঁর আত্মীয়েরা ওই সম্পত্তি ফেরত চেয়ে কর্নাটক হাই কোর্টে মামলা করেন। পরে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হন। জয়ললিতার আত্মীয়দের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই অবস্থায় শুক্রবার কর্নাটক প্রশাসন ওই বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি তুলে দেয় তামিলনাড়ুর এমকে স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন ডিএমকে সরকারের হাতে। কর্নাটক প্রশাসনের কাছে জয়ললিতার মামলায় বাজেয়াপ্ত হওয়া সাড়ে ২৭ কেজি সোনা, ১১১৬ কেজি রুপো এবং দেড় হাজার একর জমির নথিপত্র গচ্ছিত ছিল। সেগুলি রাখা ছিল কর্নাটক বিধান সৌধ কোষাগারে।

আদালত এবং সরকারি আধিকারিকদের উপস্থিতিতে শুক্রবার ওই বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রামাণ্য দলিল হিসাবে বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রীর ছবিও তোলা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে রয়েছে একটি স্বর্ণমুকুট। হস্তান্তর করা হয়েছে একটি সোনার তলোয়ার। এ ছাড়া লাল রঙের একটি ভেলভেটের বাক্সের মধ্যে এক মহিলার মুখ খোদাই করা সোনার ভাস্কর্যও রয়েছে তালিকায়। সম্পত্তি হস্তান্তরের সময়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন তামিলনাড়ু স্বরাষ্ট্র দফতরের আধিকারিকেরা। বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি হস্তান্তরের সময়ে আদালত চত্বরে ছিল কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী।

Advertisement

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ইস্তফা দিয়েছিলেন এডিএমকে নেত্রী জয়ললিতা। জেলেও গিয়েছিলেন। অবশ্য কর্নাটক হাই কোর্টের রায়ে ‘বেকসুর খালাস’ হয়ে জেল থেকে বেরিয়ে ২০১৫-য় আবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ‘আম্মা’। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগেই ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement