টানা বৃষ্টির জেরে ক্রমাগত বাড়ছে আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন তিনশোর বেশি মানুষ। কেরলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে গিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, কেরলের ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতির কিছু ছবি।
বৃষ্টি আর বন্যার দাপট অব্যাহত। ফুঁসছে নদী, বাঁধগুলিতে বাড়ছে জল, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩২৪।
অবরুদ্ধ উত্তর আর মধ্য কেরলের অধিকাংশ এলাকা। একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে। ধসের মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।
বৃষ্টি আর বন্যার দাপটে ভেঙেছে একাধিক বাড়ি। গৃহহীন কয়েক হাজার পরিবার।
গত একশো বছরে এই পর্যায়ের বিপর্যয় দেখেনি কেরল। ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা করার পর অন্তর্বতীকালীন ৫০০ কোটি টাকা ত্রাণ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ হাজার পরিবার।
উদ্ধার কাজের জন্য আপাতত ইদুক্কি ও ইদামালায়ার বাঁধ থেকে কম জল ছাড়া হচ্ছে। কিন্তু তাতে বাঁধের ওপর চাপ বাড়ছে। বৃষ্টি আরও হলে বাঁধ থেকে আরও বেশি জল ছাড়া হতে পারে। তখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন।
একাধিক এলাকা জলের তলায়। ১৫০০টি অস্থায়ী শিবিরে ঠাঁই হয়েছে তাঁদের। হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের অভাব। পেট্রোল পাম্পে মিলছে না তেল।
আলাপুঝা, এর্নাকুলাম, ত্রিশূর, পথমনথিট্টায় এখন পরিস্থিতি সব চেয়ে ভয়াবহ। এই সব জায়গায় রাস্তাঘাট পুরোপুরি জলের তলায়। ত্রিশূরের প্রায় গোটাটাই ডুবে গিয়েছে। কোথাও কোথাও ত্রাণ শিবিরেও ঢুকে পড়েছে জল।
চপার আর নৌকা পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। ২৬ অগস্ট পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কোচি বিমানবন্দর। বিমান পথে গোটা দেশের সঙ্গে কার্যত প্রায় বিচ্ছিন্ন কেরল।