রাফাল যুদ্ধবিমান। ছবি: পিটিআই।
ফ্রান্স থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল বুধবার সকালে। টানা ৭,০০০ কিলোমিটার উড়ান শেষে রাতে ভারতে এসে পৌঁছল ৩টি রাফাল। ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়েছে, গুজরাতের জামনগরের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নামে ৩টি ফরাসি যুদ্ধবিমান।
গত ২৯ জুলাই ভারতে প্রথম ৫টি রাফাল এসে পৌঁছেছিল। আসার পথে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আল-ধাফরা বিমানঘাঁটিতে নেমেছিল। সেখানে আকাশে সেগুলিতে জ্বালানি ভরা হয়েছিল। প্রথম দফায় আসা ৫টিকে হরিয়ানার অম্বালা বিমানঘাঁটি-স্থিত ‘গোল্ডেন অ্যারো (১৭ নম্বর) স্কোয়াড্রন’-এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অস্ত্রসজ্জার পালা শেষ হওয়ার পর গত ১০ সেপ্টেম্বর সেগুলি আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগ দেয়। ভারতীয় বায়ুসেনা সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফায় এসে পৌঁছনো ৩টি রাফালও অম্বালার ওই স্কোয়াড্রনের অন্তর্ভুক্ত হবে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান আর কে এস ভদৌরিয়া বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘২০২৩ সালের মধ্যে ফ্রান্স থেকে সবগুলি রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতে চলে আসবে।’’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, পরবর্তী পর্যায়ে জানুয়ারি মাসে ৩টি, মার্চে ৩টি এবং এপ্রিলে ৭টি রাফাল যুদ্ধবিমান ফ্রান্স থেকে ভারতে আসবে। আগামী এপ্রিল পর্যন্ত ২১টি এক আসন বিশিষ্ট যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি ৭টি দুই আসন-বিশিষ্ট প্রশিক্ষণ রাফালও ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে পৌঁছনোর কথা। যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে ১৮টিকে অম্বালায় রেখে ৩টি উত্তরবঙ্গের হাসিমারা বিমানঘাঁটিতে পাঠানো হবে।
২০১৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী ফ্রান্স থেকে ৫৯ হাজার কোটি টাকায় মোট ৩৬টি রাফাল কিনবে ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনার দু’টি রাফাল স্কোয়াড্রনের মধ্যে প্রথমটির ঠিকানা হরিয়ানার অম্বালা। দ্বিতীয়টি হবে আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটি।
আরও পড়ুন: পেনশন এবং অবসর নিয়ে নয়া নীতি সেনার, রাওয়তের ‘প্রস্তাব’ ঘিরে জল্পনা
২০০৭ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশনের কাছ থেকে ১২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতায় আসার পর দাসোর সঙ্গে নতুন করে চুক্তি হয়। ঠিক হয়, ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা হবে।
আরও পড়ুন: বিহার ভোটে শরিকি সঙ্ঘাত, যোগীর সিএএ মন্তব্যের বিরোধিতায় নীতীশ
চতুর্থ প্রজন্মের ‘মিডিয়াম মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট’ রাফালে রয়েছে ইউরোপের মিসাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা এমবিডিএ-র ‘ম্যাটিওর’ বিয়ন্ড ভিস্যুয়াল রেঞ্জ (দৃষ্টিশক্তির বাইরে আঘাত হানতে সক্ষম) এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘স্কাল্প’ এবং ‘হ্যামার’ (হাইলি অ্যাজাইল অ্যান্ড ম্যানুভারেবল মিউনিশন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ) ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশে উড়তে উড়তেই জ্বালানি ভরে নিতেও (রিফুয়েলিং) দক্ষ রাফাল।