গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখছে সেবি। ফাইল চিত্র।
আদানিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কি সত্য? সত্যিই কি গৌতম আদানির সংস্থা কারচুপি করেছে? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করছে ভারতের শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’ (সেবি)। তবে এই তদন্ত সম্পূর্ণ করতে তাদের আরও কিছুটা সময় লাগবে, শীর্ষ আদালতকে তেমনটাই জানিয়েছে সংস্থা।
গত ২ মার্চ আদানিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো তদন্ত শুরু করেছিল সংস্থা। তবে তাদের কাছে ২ মাসের মধ্যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। সেবির তরফে আরও কিছুটা সময় চাওয়া হল।
শনিবার সেবি সুপ্রিম কোর্টে ৬ মাস সময়ের জন্য আবেদন জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, এই বিষয়টি এতই জটিল যে মাত্র দু’মাসের মধ্যে এর তদন্ত সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। আরও কিছুটা সময় দরকার। ৬ মাস পরে সেবি বিস্তারিত রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে পারবে।
ইতিমধ্যে সেবি তাদের তদন্তের একটি প্রাথমিক রিপোর্ট বিশেষজ্ঞ কমিটিতে জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছে। এ ছাড়া, শীর্ষ আদালতে তারা আদানি গোষ্ঠীর সম্ভাব্য ত্রুটিগুলির একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে। সংস্থার দাবি, সাধারণত এই ধরনের বিষয়ের তদন্ত শেষ করতে ১৫ মাস সময় লেগে থাকে। সেবি ৬ মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন করতে চাইছে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে সেই সময়ের জন্য তারা আবেদন জানিয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে একটি রিপোর্ট পেশ করেছিল আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ। তাদের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ভারতের শেয়ার বাজারে ধস নামে। হু হু করে কমতে থাকে আদানিদের শেয়ারের দর। হিন্ডেনবার্গের মূল অভিযোগ ছিল, আদানিরা কারচুপির মাধ্যমে শেয়ারের দর বাড়িয়ে দেখিয়েছে। এ ভাবে তারা লগ্নিকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আদানি গোষ্ঠী অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিতর্কের মাঝে অভিযোগের সত্যতা তদন্তের মাধ্যমে যাচাই করে দেখতে সেবিকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদানি গোষ্ঠীর মোট সাতটি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে।