Terrorists

Kashmir: জঙ্গিদের খোঁজে অভিযান কাশ্মীরে

সুরানকোট ও মেন্ধারের জঙ্গলে জঙ্গি দমন অভিযানে গিয়ে গত মাসের ১১ ও ১৪ তারিখ মৃত্যু হয় ভারতীয় সেনা বাহিনীর ৯ সদস্যের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

সন্দেহভাজন কিছু সন্ত্রাসবাদীর খোঁজে জম্মু-কাশ্মীরের দু’টি এলাকা প্রায় চষে ফেলেছেন জঙ্গি-দমন শাখার অফিসারেরা। রাজৌরি আর পুঞ্চ জেলায় চলা ওই অভিযান আজ ২৭ দিনে পড়ল। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন যাতে সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি না হয়, আজ থেকে সে জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল রাজৌরি জেলার থানামান্ডি যাওয়ার মূল সড়কটি। সকাল থেকেই সব গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই এলাকায়। গ্রামগুলি ঘিরে রেখে চলছে তল্লাশি।

Advertisement

সুরানকোট ও মেন্ধারের জঙ্গলে জঙ্গি দমন অভিযানে গিয়ে গত মাসের ১১ ও ১৪ তারিখ মৃত্যু হয় ভারতীয় সেনা বাহিনীর ৯ সদস্যের। যার মধ্যে জুনিয়র কমিশনড পদস্থ দুই অফিসারও ছিলেন। তার পর থেকেই জঙ্গিদের খোঁজে পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলার বিভিন্ন জঙ্গলে তল্লাশি চালাচ্ছে জঙ্গি দমন বাহিনী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সে ভাবে সাফল্য আসেনি। সম্প্রতি জানা যায় খাবলার জঙ্গলে কিছু সন্দেহভাজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। তার পরে ওই এলাকা তোলপাড় করে সন্ধান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা ও পুলিশের যৌথ দল।

গত ২৪ অক্টোবর ধৃত পাকিস্তানি জঙ্গি জ়িয়া মুস্তাফাকে সঙ্গে নিয়ে মেন্ধারের ভাট্টি দুরিয়াঁ জঙ্গলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশিতে গিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু ধৃত ওই জঙ্গি নিজের সঙ্গীদের ঘাঁটি চিনিয়ে দেওয়ার আগেই জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়। জম্মুর কোট ভালওয়াল সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ওই জঙ্গিকে সুরানকোট ও মেন্ধারের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই বিশেষ ভাবে ছাড়িয়ে মেন্ধারে এনেছিল পুলিশ। কিন্তু বাহিনীকে সাহায্য করার আগেই তাকে মেরে ফেলে তার সঙ্গীরা।

Advertisement

এ দিকে, জম্মু-কাশ্মীরের বদগাম জেলায় তোলাবাজির ঘটনায় পাকড়াও করা হয়েছে চার ব্যক্তিকে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নকল একে-৪৭ এবং নগদ টাকা। পুলিশ আজ জানিয়েছে, গত অগস্টে রাওয়াতপোরা খাগ এলাকার বাসিন্দা তওসিফ আহমেদ বাট ও তাঁর পড়শি সাকিব আহমেদ দার অভিযোগ করেন, রাস্তায় মুখোশ পরা কিছু ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা লুট করেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ পেঠজ়ানিগমের বাসিন্দা ফিরোজ় আহমেদ ওয়ানিকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জেরায় ওয়ানি প্রথমে অপরাধ কবুল করে বলে দাবি করেছে পুলিশ। তার পরে ওয়ানির আরও দুই শাগরেদকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের থেকেই উদ্ধার হয় কাঠের তৈরি নকল আগ্নেয়াস্ত্র, তিনটি মুখোশ ও নগদ প্রায় ৩৩ হাজার টাকা। যে কাঠের মিস্ত্রি ওই নকল একে-৪৭ বানিয়ে দিয়েছিল, সেই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement