কর্তার সিংহ। সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট ভিলওয়াড়া। ছবি: সংগৃহীত।
শৌচালয় বানাও, না হলে অন্ধকারে থাকো। রাজস্থানের ভিলওয়াড়ার গাঙ্গিথালা গ্রামের বাসিন্দাদের এমনই নিদান দিলেন সেখানকার সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) কর্তার সিংহ।
আরও পড়ুন: ৪০ লক্ষ টাকার হীরে কুড়িয়ে পেয়েও ফিরিয়ে দিল রক্ষীর ছেলে
সিংহের দাবি, গাঙ্গিথালা গ্রামের মাত্র ১৯ শতাংশ মানুষ শৌচালয় ব্যবহার করেন। বার বার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও গ্রামবাসীদের বেশির ভাগই শৌচালয় বানাননি বা বানানোর প্রয়োজন বোধ করেননি। খোলা জায়গায় শৌচকর্ম নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনমূলক প্রচার করা হয়। খোলা জায়গায় শৌচকর্ম কেন করা উচিত নয়, এ নিয়ে বেশ কয়েকটি শিবিরও হয় ওই গ্রামে। সিংহ বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে একটি সমীক্ষা করে দেখা যায় বেশির ভাগ বাড়িতেই শৌচালয় নেই। সে ক্ষেত্রে কিছু জরিমানা করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল গ্রামবাসীদের। সে কারণেই বিদ্যুত্ দফতরকে বলেছি যে সব গ্রামবাসীর বাড়িতে শৌচালয় নেই, তাঁদের বাড়ির বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দিতে। সিংহ আরও জানান, ১৫ দিনের মধ্যে যদি শৌচালয় না বানান তাঁরা, তা হলে বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, কাজ না হলে রেশনও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন সিংহ।
কর্তার সিংহের এই নিদানের খবর উঁচু মহলের কানে পৌঁছলে সেখান থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে। ভিলওয়াড়ার জেলাশাসক বলেন, “এটা খুব কঠোর নির্দেশ। এসডিএম-কে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার কথা বলা হয়েছে। বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া বা রেশন বন্ধ করার মতো পদক্ষেপ করা হবে না। এ ধরনের পদক্ষেপের পরিবর্তে শৌচালয় নির্মাণ করতে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে হবে।”
আরও পড়ুন: শৌচাগার না বানানোয় স্বামীকে ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী
গত ১৮ অগস্ট খোলা জায়গায় শৌচকর্ম নিয়ে সচেতনতা অভিযানে পিপলান্ড গ্রামে গিয়েছিলেন এই এসডিএম। গিয়ে দেখেন গ্রামবাসীরা খোলা জায়গায় শৌচকর্ম করছেন। অভিযোগ, তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও বিষয়টি মানতে চাননি। তখনই ৬ জনকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন তিনি। ১৫ দিনের মধ্যে শৌচালয় বানাবেন এই প্রতিশ্রুতি আদায়ের পর তাঁদের প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়।