রামলালার মূর্তি (বাঁ দিকে)। অরুণ যোগীরাজ (ডান দিকে) ছবি: পিটিআই।
তাঁর বানানো রামলালার মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে সোমবার। কর্নাটকের সেই প্রখ্যাত ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ এ দিন অযোধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁর গলায় ছিল শ্রীরাম লেখা গেরুয়া রঙা উত্তরীয়। নিজের উপলব্ধি প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, “আমার এখন মনে হচ্ছে, আমি পৃথিবীর সব থেকে ভাগ্যবান মানুষ।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমার পূর্বপুরুষ, পরিবারের সদস্য এবং প্রভু রামের আশীর্বাদ সব সময় আমার সঙ্গে রয়েছে। মাঝেমধ্যে আমার মনে হয় আমি এক স্বপ্নের জগতে রয়েছি।”
সোমবার ‘শুভ মুহূর্তে’ রামলালা বা শিশু রামের বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। রামমন্দিরের গর্ভগৃহে পঞ্চপ্রদীপ জ্বালিয়ে রামলালার আরতি করেন প্রধানমন্ত্রী। পুজো সম্পন্ন হওয়ার আগেই রামলালার বিগ্রহের চোখের বাঁধন খুলে দেওয়া হয়।
এর আগে রামের একটি বিগ্রহের ছবি ‘রামলালা’র নতুন মূর্তির ছবি বলে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে পরে রামমন্দিরের পুরোহিত জানান যে, ওই ছবিতে যে বিগ্রহ দেখা যাচ্ছে, তা আদৌ রামলালার নয়। রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস শনিবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছিলেন, ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র ঠিক আগেই মূর্তির আবরণ উন্মোচন হবে।
উল্লেখযোগ্য যে, যে মূর্তির ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই ছবির সঙ্গে আসল ‘রামলালা’র বিগ্রহের খুব একটা অমিল নেই। শুক্রবারই রামলালার নতুন মূর্তি আনা হয় মন্দিরে। গর্ভগৃহে ঢোকানোর সময়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ ছাড়া নির্মাণকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেই সময়ে মূর্তির চোখমুখ ঢাকাই ছিল। সোমবার বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় সেই ছবি প্রকাশ্যে আসে।
অযোধ্যার গর্ভগৃহে রামলালার কোন মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে, তা নিয়ে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের শীর্ষ পদাধিকারীদের মধ্যে একটি ভোটাভুটি হয়। তিনটি মূর্তির মধ্যে কৃষ্ণশিলায় তৈরি যোগীরাজের মূর্তিটিকে বেছে নেওয়া হয়। ৫১ ইঞ্চি উচ্চতার এই মূর্তিটি শিশু রামের আদলে বানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাঁচ বছরের রামলালা একটি প্রস্ফুটিত পদ্মের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন।