জাত এবং ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে বসানোর অভিযোগ উঠেছে বিহারের বৈশালী জেলার লালগঞ্জের একটি সরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এর মধ্যে অন্যায় কিছু দেখছেন না। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মীনা কুমারীর কথায়, “স্কুলের বাচ্চাদের পড়াশোনার সুবিধা এবং প্রকল্প রূপায়ণের জন্য এমন ব্যবস্থা করেছি। এতে কাজের সুবিধা হয়েছে আমাদের। কোনও অভিযোগ বা আপত্তি আমাদের কাছে আসেনি।’’ ঘটনার তদন্তে নেমেছে রাজ্য ও জেলা প্রশাসন।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি ক্লাসকে একাধিক সেকশনে ভাগ করা হয়েছে। সেকশনগুলিকে আবার ছাত্র ও ছাত্রীদের নিরিখে দু’ভাগ করা হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ তাঁদের বক্তব্য, স্কুলের নবম শ্রেণিতে ৭৭০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ছ’টি সেকশনে ভাগ করে পড়ানো হচ্ছে। ‘এ’ সেকশন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আবার এ-১ ছাত্রীদের জন্য এবং এ-২ ছাত্রদের জন্য নির্দিষ্ট। ‘বি’ সেকশন অতি পিছড়ে বর্গ, ‘ডি’ সেকশন তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য ভাগ করা হয়েছে। বাকি সেকশন নির্দিষ্ট ‘জেনারেল’-এর জন্য।
বিহারের স্কুলে জাতির ভিত্তিতে ক্লাসে বসানোর অভিযোগ এই প্রথম নয়। কিছু দিন আগে পূর্ব চম্পারণ জেলার একটি স্কুলে এমনই অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরে বিডিও সেই ব্যবস্থা রদের নির্দেশ দেন।
আরও খবর: ‘যত ক্ষণ না চাষিদের ঋণ মকুব হচ্ছে, তত দিন মোদীজিকে ঘুমোতে দেব না’
লালগঞ্জ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে জেলা শিক্ষা দফতর। ব্লক শিক্ষা আধিকারিক অরবিন্দ কুমার তিওয়ারি অভিযোগের তদন্ত করেছেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক বিষয়। আমি স্কুলে গিয়েছিলাম। রিপোর্ট জেলা দফতরে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।”
বিষয়টি শোনার পরে হতভম্ব রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী কৃষ্ণনন্দন বর্মা। তিনি বলেন, “কোনও স্কুলে এমন ব্যবস্থা থাকা অত্যন্ত অন্যায়। জাত ও ধর্মের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের ভাগ করা অন্যায়। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”