ছবি: সংগৃহীত।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জের শুনানি হবে না সাত বা নয় সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চে। আগের মতোই সে শুনানি চলবে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে। সোমবার আবেদনকারীদের জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এ নিয়ে কেন্দ্রের বক্তব্যেই সায় দিয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলার শুনানির কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।
গত বছরের ৫ অগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করা হয়। পাশাপাশি, রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত দু’টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়। এর পর থেকে ওই পদক্ষেপের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক আবেদন জমা পড়েছে। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পিপলস ইউনিয়ন অব সিভিল লিবার্টিস (পিইউসিএল), জম্মু ও কাশ্মীর বার অ্যাসোসিয়েশন এবং এক জন মধ্যস্থতাকারী। তাদের আবেদন ছিল, পাঁচ সদস্যের বদলে এ মামলার শুনানি করা হোক সাত বা নয় সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চে। গত ২৩ জানুয়ারি এ নিয়ে নির্দেশ সংরক্ষিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এন ভি রমনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। এ দিন ওই বেঞ্চের নির্দেশ, আবেদনের শুনানি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা নেই।
আরও পড়ুন: রায় সংশোধনের আর্জি খারিজ পবনের, কালই ফাঁসি হওয়ার কথা নির্ভয়ার ধর্ষকদের
আরও পড়ুন: আপনারা মিথ্যে বলছেন, পাল্টা আঙুল ‘গোলি মারো’র ‘জনক’ অনুরাগের
প্রেমনাথ কল মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, কাশ্মীরের শাসকদের ক্ষমতা ৩৭০ অনুচ্ছেদেই সীমাবদ্ধ নয়। ৩৭০ অনুচ্ছেদের অস্থায়ী বিধানগুলি এই ধারনার উপর ভিত্তি করে ছিল যে ভারতের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের চূড়ান্ত সম্পর্কটি শেষ পর্যন্ত ওই রাজ্যের বিধানসভা দ্বারা নির্ধারিত করা হবে। অন্য দিকে, সম্পত প্রকাশ মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার পরামর্শক্রমে কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতি যদি এ নিয়ে কোনও নির্দেশ জারি করেন, তবেই ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের সিদ্ধান্ত খারিজ বলে ধরা হবে।
কেন্দ্রের তরফে এই মামলা লড়ছেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল। এই আবেদনের বিরোধিতা করে আদালতে কেন্দ্রের তরফে তাঁর বক্তব্য ছিল, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের সিদ্ধান্তটি কার্যকর করা হয়ে গিয়েছে। তা মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। আদালতে কেন্দ্রের আইনজীবী জানিয়েছেন, ওই দুই মামলার রায় একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ছিল না। তা ছাড়া, সেগুলি ভিন্ন ইস্যু ছিল। কেন্দ্রের যুক্তি, যে ৩৭০ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের সার্বভৌমিকতা ছিল, সেই অনুচ্ছেদই অস্থায়ী।