Munna Shukla

বিহারে মন্ত্রী খুনে বাহুবলী নেতা মুন্না শুক্লের যাবজ্জীবন, ২৬ বছর পরে সাজা সুপ্রিম কোর্টে

১৯৯৮ সালের ১৩ জুন গভীর রাতে পটনার রাজপথে বিহার সরকারের তৎকালীন মন্ত্রী ব্রিজবিহারী প্রসাদ এবং তাঁর দেহরক্ষীর গাড়িতে হামলা চালিয়েছিল আততায়ীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৫০
Share:

(বাঁ দিকে) ব্রিজবিহারী প্রসাদ। মুন্না শুক্ল (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বিহারে এক মন্ত্রীকে খুনের অপরাধে সুপ্রিম কোর্ট দোষী সাব্যস্ত করল বাহুবলী রাজনীতিক তথা প্রাক্তন বিধায়ক বিজয়কুমার ওরফে মুন্না শুক্ল-সহ দু’জনকে। প্রায় আড়াই দশকের পুরনো মামলায় তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। তবে প্রাক্তন বাহুবলী সাংসদ সুরজ ভান-সহ ন’জন অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

মুন্না এবং সহ-অপরাধী মন্টু তিওয়ারিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৮ সালের ১৩ জুন গভীর রাতে পটনার রাজপথে বিহার সরকারের তৎকালীন মন্ত্রী ব্রিজবিহারী প্রসাদ এবং তাঁর দেহরক্ষীর গাড়িতে হামলা চালিয়েছিল আততায়ীরা। স্বয়ংক্রিয় রাইফেলের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের অনুগামী ব্রিজবিহারী। সিবিআই তদন্তে প্রধান চক্রান্তকারী হিসাবে উঠে এসেছিল মুজফ্ফরপুরের বাহুবলী রাজনীতিক মুন্নার নাম।

ঘটনাচক্রে, তৎকালীন সমতা পার্টির নেতা নীতীশ কুমারের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন প্রভাবশালী ভুমিহার জনগোষ্ঠীর বাহুবলী মুন্না। সমতা পার্টির পরোক্ষ সমর্থনে বিধায়কও হয়েছিলেন তিনি। অন্য দিকে, পরবর্তী সময় ব্রিজবিহারীরে স্ত্রী রমা দেবী বিজেপিতে যোগ দিয়ে সাংসদ হন। ২০১৪ সালে এই মামলায় মুন্না, সুরজভান-সহ ন’জন অভিযুক্তকেই মুক্তি দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই পটনা হাই কোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তার রায় দিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement