Supreme Court

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হতে চলেছেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত

সোমবার কলেজিয়ামের বৈঠকে তাঁর নাম চূড়ান্ত করা হয়। গত ২৭ অগস্ট প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত দায়িত্ব নেওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দীপঙ্কর দত্তের নামই প্রথম প্রস্তাব করা হল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:১৫
Share:

বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। ফাইল চিত্র।

বোম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করার জন্য সুপারিশ করল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। সোমবার কলেজিয়ামের বৈঠকে তাঁর নাম চূড়ান্ত করা হয়। গত ২৭ অগস্ট প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত দায়িত্ব নেওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দীপঙ্কর দত্তের নামই প্রথম প্রস্তাব করা হল।

Advertisement

১৯৬৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় দীপঙ্কর দত্তের জন্ম। ১৯৮৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হন তিনি। সেই বছরই তিনি কলকাতা হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন। বিচারপতি দত্তর বাবা সলিলকুমার দত্ত কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ছিলেন। সাংবিধানিক এবং দেওয়ানি আইনে বিশেষ পারদর্শী এই বিচারপতি ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৌঁসুলি হিসাবে কাজ করেছেন। তারও আগে ১৯৯৮ সালে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কৌঁসুলি হিসাবে কাজ করেছেন। ২০০৬ সালের ২২ জুন তিনি কলকাতা হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন।

বোম্বে হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ভূষণ পি ধর্মাধিকারী অবসর গ্রহণ করার পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন বিচারপতি দত্ত। বোম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি হিসাবে তিনি হাই কোর্টের কাজের সময়ে বদল এনেছিলেন। সকাল ১১টা থেকে ৫টার পরিবর্তে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ৪টে পর্যন্ত হাই কোর্টের কাজের সময় নির্ধারণ করেছিলেন তিনি। কোভিড অতিমারির সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন তিনি। বিচারপতি দত্তর আগে বোম্বে হাই কোর্ট থেকে বিচারপতি অনিল দাভে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হয়েছিলেন।

Advertisement

প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বর্তমানে কলেজিয়ামের সদস্য রয়েছেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কউল, বিচারপতি এস এ নাজির এবং বিচারপতি কে এম জোসেফ। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই কলেজিয়ামের তরফেই বিচারপতি দত্তের নাম প্রস্তাব করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement