শরদ পওয়ারের বাড়িতে হওয়া ‘ইন্ডিয়া’-বৈঠকে ‘অনুপস্থিত’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (বাঁ দিকে)। সঞ্জয় রাউত (ডান দিকে)। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকের দিনই সমন পাঠিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা নিয়ে ইডি এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা করলেন শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত। এই বিষয়ে ‘ইন্ডিয়া’র অন্য সদস্য দলগুলি যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশে রয়েছে, সেই বার্তাও দিয়েছেন রাউত। এই পাশে থাকার বার্তা দিতেই রাউত জানান, বুধবার নয়াদিল্লিতে বিরোধী জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকে একটি আসন ফাঁকা রাখা হচ্ছে অভিষেকের জন্য।
বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম সদস্য উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা (ইউবিটি)ও। সেই দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাউত বুধবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “মুম্বইয়ের বৈঠকে যেমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেই মতোই আমরা আজ বৈঠকে বসতে চলেছি।” এর পরই সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য রাউত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির উদ্দেশে তোপ দেগে বলেন, “অভিষেক আজ বৈঠকে থাকতে পারলেন না, কারণ ইডি আর বিজেপি তেমনটা চায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার চায়নি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে এসে ‘ইন্ডিয়া’র সমন্বয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিন।”
বৈঠকে অভিষেকের জন্য আসন ফাঁকা রাখা নিয়ে শিবসেনা (ইউবিটি) বলেন, “আজকেই তাঁকে (অভিষেক) ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। আমরা তাঁর জন্য একটি আসন ফাঁকা রেখে এই বার্তাই দিতে চাইছি যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি ‘ইন্ডিয়া’র সদস্যদের উপর অত্যাচার করছে।”
তাঁকে যে ইডি আবার তলব করেছে, তা নিজেই জানিয়েছিলেন অভিষেক। তিনিই নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে রবিবার লেখেন, ‘‘ইন্ডিয়ার সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে, যে কমিটির আমিও এক জন সদস্য। কিন্তু ইডি ওই দিনই আমাকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস দিয়েছে! এই মাত্র সেই নোটিস পেলাম। ৫৬ ইঞ্চি ছাতির কাপুরুষতা ও অন্তঃসারশূন্যতা দেখে বিস্মিত না হয়ে পারছি না।’’ মঙ্গলবারই তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছিল, সমন্বয় কমিটির বৈঠকে নয়, ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সেই যাবেন অভিষেক। বুধবার সকাল ১১টা ১২ মিনিটে ইডি দফতরের দিকে রওনা দেয় অভিষেকের গাড়ি। সকাল ১১টা ৩৪ মিনিটে ইডি দফতরে ঢোকেন অভিষেক।
বুধবার দিল্লিতে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের বাড়িতে ‘ইন্ডিয়া’র সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকটি হচ্ছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, দল প্রথমে অন্য কাউকে বৈঠকে পাঠানোর কথা ভেবেছিল। কিন্তু পরে শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন, অন্য কাউকে পাঠালে কমিটির গুরুত্ব লঘু করা হবে। বুধবারের বৈঠকে শরিক দলগুলির মধ্যে আসন বণ্টন প্রক্রিয়া, যৌথ নির্বাচনী প্রচার ও জনসভা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।