জেলে থেকে ১০ কেজি ওজন কমেছে, দাবি শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের। — ফাইল ছবি।
জেলে থেকে ১০ কেজি ওজন কমে গিয়েছে। দৃষ্টিশক্তিও ক্ষীণ হয়েছে। জামিন পেয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তিনি এই দাবিও করেন যে, জেলের ‘আন্ডা সেল’-এ রাখা হয়েছিল তাঁকে। সেখানে ১৫ দিন সূর্যের আলো দেখতে পাননি।
জেল থেকে বেরিয়েই রাউত জানিয়েছিলেন যে, গত ১০০ দিনে কারাবাসের অভিজ্ঞতা তিনি দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে শোনাবেন। তার আগে সংবাদমাধ্যমকেই সেই অভিজ্ঞতার কথা শোনান উদ্ধব-ঘনিষ্ঠ রাউত। জানান, জেলে থাকার কারণে তাঁর দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে গিয়েছে। স্মৃতিশক্তিও কমজোরি হয়েছে। রাউতের কথায়, ‘‘কিছু পড়তে বা দেখতে আমার সমস্যা হচ্ছে। কানে শুনতে, এমনকি কথা বলতেও সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু ঠিক আছে, আমায় এ সব সহ্য করতেই হবে। এ সবের কারণে আপনার স্মৃতিশক্তিও দুর্বল হয়ে যায়।’’
সংশোধনাগারের ‘আন্ডা সেল’-এ মূলত যুদ্ধবন্দি, সন্ত্রাসবাদীদের রাখা হয়। রাউতের দাবি, তাঁকে সে রকমই এক কক্ষে রাখা হয়েছিল। কারণ বিজেপি তাঁদের ‘যুদ্ধবন্দি’ বলে ভাবে। শিবসেনা নেতার কথায়, ‘‘আমি নিজেকে যুদ্ধবন্দি বলি। কারণ সরকার মনে করে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি।’’ তিনি জানিয়েছেন, জেলে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁর। অনিলের শরীর ভাল নেই। প্রসঙ্গত, দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনিল। এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, ‘‘সরকার কি শুধুই বিরোধীদের গ্রেফতার করবে?’’
এর পরেই রাউত উদ্ধব এবং ঠাকরে পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। বলেন, ‘‘আমি আজ যা হয়েছি, সবটাই বালসাহেব ঠাকরে এবং ঠাকরে পরিবারের জন্য।’’ এর পর একহাত নিলেন একনাথ শিন্ডের মতো দলত্যাগীদের। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা দল ছাড়ছেন, তাঁরা বেরিয়ে যেতে পারেন। তাঁদের ছাড়াও দল থাকবে, আড়েবহরে বাড়বে। আসলে যাঁরা দল ছাড়ছেন, তাঁরা অন্য কারও নির্দেশে এ সব করছেন।’’ জোর গলায় রাউত এও বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে একটাই শিবসেনা।’’ তিনি এ-ও দাবি করেছেন, ‘‘অন্ধেরি উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দিলে আমরা এক লক্ষ ভোটে জয়ী হতাম।’’