সমহিথা কাসিভাত্তা। তেলেঙ্গনার কনিষ্ঠতম ইঞ্জিনিয়ার। বয়স মাত্র ১৬। যে বয়সে সাধারণত মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে থাকে ছেলেমেয়েরা। শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারই নয়, ওই বয়সে ক্যাট উত্তীর্ণও হয়েছে সে! এতেই অবাক হবেন না, সমহিথার ঝুলিতে আরও অনেক বিস্ময়কর কৃতিত্ব রয়েছে।
তেলঙ্গনার বাসিন্দা সমহিথার মধ্যে যে লুকনো প্রতিভা রয়েছে, তা অবশ্য অনেক আগেই টের পেয়েছিলেন তার বাবা-মা। আর এই প্রতিভাই অন্য শিশুদের থেকে সমহিথাকে আলাদা করে তুলেছিল।
তিন বছর বয়সে তার বয়সী শিশুরা পড়তে শেখে। অক্ষর চিনতে শেখে তারা। আর সমহিথা? ওই বয়সেই বিশ্বের সমস্ত দেশ, তাদের জাতীয় পতাকা, তার রাজধানী গড়গড় করে আওড়ে চলত।
ছোট থেকে লেখালেখিতেও সমাদৃত সমহিথা। সৌর জগতের উপর তার একটি ১৬ পাতার আর্টিকল এতটাই ভাল ছিল যে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কালামের প্রশংসা পায় সেই লেখা। সেটাও মাত্র ৫ বছর বয়সে।
একবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছিল সে। তাতে দেশের অর্থনীতির উন্নতি কী ভাবে সম্ভব তার একটি বিশদ মতামত ছিল। সমহিথার সেই মতামতও যথেষ্ট প্রশংসিত হয়।
এখানেই শেষ নয়। ১০ বছর বয়সে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৮.৮ গ্রেড নম্বর পায় সে। অঙ্ক এবং বিজ্ঞান বিভাগে তার গ্রেড ছিল ১০। এর পরই ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার ইচ্ছাপ্রকাশ করে সে।
কিন্তু ভারতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেলে একটি ন্যূনতম বয়সের প্রয়োজন। তবে সমহিথার বিষয়টা ছিল একটু আলাদা। প্রতিভার জন্যই বয়সে ছাড় পায় সমহিথা, তাকে পড়ার অনুমতি দেয় তেলঙ্গনা রাজ্য সরকার। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে সমহিথা। আর মাত্র ১৬ বছর বয়সে সে তেলঙ্গনার কনিষ্ঠতম ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যায়।
সম্প্রতি ১৭ বছর বয়সে ক্যাট পাশ করেছে সমহিথা। এ বার সমহিথার লক্ষ্য অর্থনীতিতে এমবিএ করা।
এই সাফল্যের পিছনে তার বাবার গুরুত্ব অপরিসীম, জানিয়েছে সমহিতা। সমহিতার বাবা আমেরিকার এক এয়ারক্র্যাফ্ট কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতেন। কিন্তু মেয়ের এই অসম্ভব প্রতিভার কথা জানার পরই চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন।
মেয়েকে প্রথম থেকে ভারতেই বড় করতে চেয়েছিলেন তিনি। তার পুরো পড়াশোনা এ দেশ থেকেই হোক, চান তিনি।