Shafiqur Rahman Barq

শপথ নিতে গিয়ে ‘বন্দে মাতরম’ না বলায় বিতর্কে জড়ালেন সপা সাংসদ

শফিকুরের মন্তব্যের বিরোধিতায় ‘বন্দে মাতরম’ এবং ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে শুরু করেন অনেকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৯ ১৯:২৬
Share:

শপথ নিতে গিয়ে বিতর্কে জড়ান শফিকুর। —ফাইল চিত্র।

সাংসদ হিসাবে শপথ নিতে গিয়ে বিতর্ক বাধালেন সমাজবাদী পার্টির (সপা) শফিকুর রহমান বার্ক। ‘বন্দে মাতরম’ আসলে ইসলাম বিরোধী, এই যুক্তি দেখিয়ে স্লোগান দিতে অস্বীকার করেন তিনি। তাতেই উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ

Advertisement

এ বছর উত্তরপ্রদেশের সম্ভল থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন শফিকুর। বিজেপির পরমেশ্বর লাল সাইনিকে দু’লক্ষ ভোটে পরাজিত করেছেন তিনি। অন্যান্য নির্বাচিত সাংসদের সঙ্গে এ দিন শপথ নেন শফিকুর। কিন্তু শপথবাক্য পাঠের পর বাকিরা ‘বন্দে মাতরম’ বললেও, তিনি বেঁকে বসেন। সাফ জানিয়ে দেন, ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগানটি ইসলাম বিরোধী। তাই বাকিদের অনুসরণ করবেন না।

তাঁর এই ঘোষণার পরই উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। শফিকুরের মন্তব্যের বিরোধিতায় ‘বন্দে মাতরম’ এবং ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে শুরু করেন অনেকে। তবে নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় ছিলেন তিনি। সইসাবুদ সেরে সোজা নিজের আসনে গিয়ে বসে পড়েন শফিকুর।

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকেও যাচ্ছেন না মমতা, জানিয়ে দিলেন চিঠি পাঠিয়ে

বিষয়টি নিয়ে সপা প্রধান অখিলেশ যাদবকে প্রশ্ন করলে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘এই পৃথিবীকে মা বলে শ্রদ্ধা করি আমি। এর চেয়ে বড় কি কেউ হতে পারেন? যদি হন আমাকে জানাবেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বন্দে মাতরম-এর অর্থ হল মায়ের সামনে নতজানু হওয়া। ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বিপ্লবীরা এই স্লোগান দিতেন।’’

২০১৩ সালে এই ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান চলাকালীন সংসদ থেকে বেরিয়ে গিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন শফিকুর।

আরও পড়ুন: জাত তুলে কটাক্ষ! রবীন্দ্রভারতীতে পর পর ইস্তফা অধ্যাপকদের, সঙ্কট সামলাতে আসরে পার্থ​

তবে শুধু শফিকুর নন, এ দিন সংসদে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতে অস্বীকার করেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (এমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। সাংসদ হিসেবে শপথ নিতে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করে ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন সাংসদদের মধ্যে অনেকে। প্রত্যুত্তরে ‘জয় ভীম, জয় মিম, তকবির আল্লা হু আকবর’ এবং ‘জয় হিন্দ’ ধ্বনি দিতে শুরু করেন তিনি। সেই নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকেও।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement