চিঙ্কারা শিকারে বেকসুর সলমন

রাজস্থানে চিঙ্কারা শিকারের মামলা থেকে রেহাই পেলেন সলমন খান। রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি নির্মলজিৎ কউর সোমবার এই রায় দিয়েছেন। এতে সল্লুভাই কিছুটা স্বস্তি পেলেও অসন্তুষ্ট পশুপ্রেমীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জোধপুর শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৬ ০৩:৩০
Share:

সলমন খান

রাজস্থানে চিঙ্কারা শিকারের মামলা থেকে রেহাই পেলেন সলমন খান। রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি নির্মলজিৎ কউর সোমবার এই রায় দিয়েছেন। এতে সল্লুভাই কিছুটা স্বস্তি পেলেও অসন্তুষ্ট পশুপ্রেমীরা।

Advertisement

১৯৯৮-তে জোধপুরের ভাওয়াড়ে দু’টি ও মথানিয়ার জঙ্গলে ১টি চিঙ্কারা শিকারের অভিযোগে সলমনের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা হয়। ওই সময়ে ওই এলাকাতেই কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের একটি মামলাতেও অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে সলমন, সইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে ও টাবুর। তখন রাজস্থানে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং করছিলেন ওই তারকারা। তাঁরা সকলে মিলেই চোরাশিকার করতে বেরিয়েছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে দাবি করেছিল পুলিশ। ২০০৬ সালে নিম্ন আদালত দোষী সাব্যস্ত করে সলমনকে প্রথম মামলায় এক বছর ও দ্বিতীয় মামলায় পাঁচ বছর কারাদণ্ডের শাস্তি দেয়। এর জন্য সলমনকে এক সপ্তাহ জেলেও যেতে হয়। তার পরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। ২০১৫-র নভেম্বর থেকে হাইকোর্টে এই দুই মামলার শুনানি শুরু হয়।

সলমন খানের আইনজীবী মহেশ বোহরা জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করার মতো কোনও তথ্য দিতে পারেনি রাজ্য। আদালত সূত্রের খবর, যে গুলি দিয়ে চিঙ্কারা শিকার করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে, তার সঙ্গে সলমনের লাইসেন্সড বন্দুকের গুলির কোনও মিল নেই। যার বয়ানে মামলা শুরু হয়, সলমনের সেই জিপ চালক হরিশ দুলানি আপাতত নিখোঁজ। ফলে মামলায় তাঁকে কোনও রকম জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। তাই সলমন বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

Advertisement

তবে সরকারি আইনজীবীর দাবি, যেখানে চিঙ্কারা শিকার করা হয়েছে সেখানে সলমনের জিপের চাকার চিহ্ন মিলেছে। আরও দাবি, শুনানির সময় দুলানি দু’বার আদালতে হাজির থাকা সত্ত্বেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। এই রায়ে বেকসুর খালাস হওয়ায় ইতিমধ্যেই ফেসবুক, টুইটারে অসন্তোষ উগরে দিয়েছেন পশুপ্রেমীরা। বিষয়টি নিয়ে সলমনকে ঠুকেছেন তাঁর প্রাক্তন সহ-অভিনেতা রেণুকা সাহানেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement