S. Jaishankar

চিনের দখল বাষট্টিতেই, জয়শঙ্কর-নিশানায় রাহুল

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চিন নিয়ে তীব্র সুর চড়িয়েছিলেন রাহুল। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের ১০০ বর্গ কিলোমিটার জমি চিনের হাতে তুলে দিয়েছেন কোনও যুদ্ধ ছাড়াই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৫৯
Share:

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ফাইল চিত্র।

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন পূর্ব লাদাখে চিনা সেনার আগ্রাসনের পরে গত দু’বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধী সমালোচনা করে চলেছেন মোদী সরকারের। সংসদের ভিতরে ও বাইরে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। রাহুলের অভিযোগ, চিন ভারতীয় ভূখণ্ডে থানা গেড়ে বসে রয়েছে, যার সমুচিত জবাব দিতে পারছে না নয়াদিল্লি। এ বার নাম না করে সেই রাহুলকেই একহাত নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করলেন, জওহরলাল নেহরুর সময়েই ভারতের জমি দখল করেছিল চিন।

Advertisement

পুণেতে নিজের বইয়ের মরাঠি অনুবাদ প্রকাশের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেছেন, “কিছু ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে চিন নিয়ে ভুল খবর ছড়াচ্ছেন। তাঁরা ভাল করেই জানেন যে, সে সব সত্যি নয়। নিছক রাজনীতির জন্য তাঁরা এই কাজ করছেন। বাষট্টি সালের যুদ্ধে চিন ভারতের জমি দখল করেছিল। কিন্তু এমন একটা ভাব তাঁরা করছেন, যেন ঘটনাটা সম্প্রতি ঘটেছে।” নাম না করে কংগ্রেসকে এ ভাবেই নিশানা করে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “প্রশ্ন তোলাই যেতে পারে, তাঁদের আত্মবিশ্বাস নেই কেন? কেন তাঁরা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন, চিন সম্পর্কে ভুল খবর ছড়াচ্ছেন? আমি কী ভাবে এই সব প্রশ্নের জবাব দেব? কারণ, আমি জানি, তাঁরা নিছক রাজনীতি করছেন।”

কংগ্রেসের প্রচারমাধ্যম বিষয়ক সচিব পবন খেরা আজ এর পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ১৯৬২ সালে যা হয়েছিল আর গত চার বছরে যা হয়েছে— তার মধ্যে একটা মৌলিক ফারাক রয়েছে। খেরা বলেন, “১৯৬২ সালে ভারত কঠিন লড়াই করার পরেও কিছু জমি হারিয়েছিল। আর এখন আমরা জমি হারানোর পরেও কাউকে ছাড় দিয়ে দিচ্ছি।”

Advertisement

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চিন নিয়ে তীব্র সুর চড়িয়েছিলেন রাহুল। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের ১০০ বর্গ কিলোমিটার জমি চিনের হাতে তুলে দিয়েছেন কোনও যুদ্ধ ছাড়াই। সরকারের উদ্দেশে তিনি সেই সময়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন, কী ভাবে এই জমি ফেরত পাওয়া সম্ভব? লাদাখে জমি হারানো সম্পর্কে এক পদস্থ পুলিশকর্তার রিপোর্ট তুলে ধরেও সম্প্রতি মোদী সরকারকে ফের নিশানা করেছেন রাহুল। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, পূর্ব লাদাখে ৬৫টির মধ্যে ২৬টি পয়েন্টে আর টহলদারি করা যাচ্ছে না। দিল্লিতে দেশের শীর্ষ পুলিশকর্তাদের সম্মেলনে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে বলে দাবি করেন রাহুল। ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পুণের অনুষ্ঠানে অবশ্য রাহুলের সব দাবিই উড়িয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। তাঁর কথায়, “যদি চিন সম্পর্কে কিছু জানতেই হয়, তা হলে চিনা রাষ্ট্রদূতের কাছে যাব না। বরং এ দেশের সেনাকর্তাদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করব।” এই সুযোগে ২০১৭ সালে চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রাহুলের বৈঠকটি নিয়ে তাঁকে খোঁচা দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement