ইস্পাতমন্ত্রী জেডিইউ নেতা আরসিপি সিংহ। ছবি টুইটার।
জেডিইউ তাঁকে আর রাজ্যসভায় প্রার্থী না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ নরেন্দ্র মোদী সরকারের ইস্পাতমন্ত্রী, জেডিইউ নেতা আরসিপি সিংহ এখনও মন্ত্রীর গদি আঁকড়ে ধরে রেখেছেন।
এই টানাপড়েনের মধ্যেই আজ নীতীশ কুমারের দলের নেতা আরসিপি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়, রামচন্দ্র প্রসাদ সিংহ ওরফে আরসিপি বিজেপিতে যোগ দেননি। আপাতত বিজেপিতে যোগ না দিলেও আরসিপি-র রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আরসিপি এক সময় জেডিইউ-এর জাতীয় সভাপতি ছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়া নিয়ে বিজেপির সঙ্গে জেডিইউ-এর দরকষাকষির সময় আরসিপি নিজেই মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করতে রাজি হয়ে যান। তাতে নীতীশের আপত্তি ছিল। এর পর থেকেই জেডিইউ শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আরসিপি-র দূরত্ব তৈরি হয়ে। জেডিইউ-এর বর্তমান জাতীয় সভাপতি রাজীবরঞ্জন সিংহের সঙ্গেও আরসিপি-র বনিবনা নেই। আরসিপি-র সাংসদের মেয়াদ জুলাইয়ে শেষ হতে চলেছে। কিন্তু জেডিইউ তাঁকে আর প্রার্থী করেনি। তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আরসিপি এখনও সে পথে হাঁটেননি। নিয়ম অনুযায়ী, সাংসদ সদস্য না হলেও কেউ ছয় মাস পর্যন্ত মন্ত্রী থাকতে পারেন। ছ’মাসের মধ্যে তাঁকে লোকসভা বা রাজ্যসভায় জিতে আসতে হয়। আরসিপি কী করবেন, তা স্পষ্ট নয়।
জেডিইউ নেতারা মনে করছেন, আরসিপি বিজেপিতে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিজেপি, জেডিইউ-এর মধ্যে তিক্ততা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে আজ তেলঙ্গানায় বিজেপি আরসিপি-কে অভ্যর্থনা জানিয়েছে বলে ছবি নিয়ে গুজব ছড়ায়। তিনি হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও যোগ দিয়েছেন বলে জল্পনা তৈরি হয়। বিজেপি নেতা সুশীল মোদীর দাবি, আরসিপি একটি বৈঠকে যোগ দিতে হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন। সেখানে বিজেপির কর্মীরা তাঁকে এনডিএ-র নেতা হিসাবে অভ্যর্থনা জানান। তিনি বিজেপির বৈঠকে যোগ দেননি।