ফাইল ছবি।
হিজবুল মুজাহিদিনের হাতে জম্মু-কাশ্মীরের ৩ পুলিশকর্মী হত্যার পরে এসপিওদের (স্পেশ্যাল পুলিশ অফিসার) ইস্তফা নিয়ে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করল প্রশাসন।
রবিবার উপত্যকার কয়েক জন পুলিশ ও সেনাকে ইস্তফা দিতে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভি়ডিয়ো পোস্ট করে হি়জবুল। তার দিন কয়েক আগেও একটি অডিয়ো মেসেজে হিজবুল কম্যান্ডার রিয়াজ নিকু পুলিশ ও এসপিওদের হুমকি দিয়েছিল। সেই হুমকির পর পরই সোপিয়ানে তিন পুলিশকর্মীকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে এসপিওদের পদত্যাগের ভিডিয়ো। পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহ জানান, এগুলির বড় অংশ ‘ভুয়ো’। সেগুলি ছড়াচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলিই।
তবে এসপিওদের একাংশ যে ইস্তফা দিচ্ছেন তা মানছে প্রশাসন। ১৫ বছর এসপিও পদে কাজ করেন রাফিকা আখতার। সোমবার ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন তিনি। কুলগামের বাসিন্দা আখতার যদিও জানিয়েছেন, কোনও চাপ বা ভয়ের মুখে কাজ ছাড়ছেন না তিনি। দক্ষিণ কাশ্মীরের সামনুর বাসিন্দা সাবির আহমেদ থোকারও ভিডিয়োতে জানিয়েছেন, এসপিও পদে আট বছর কাজ করার পরে চাকরি ছাড়তে চান তিনি। অন্য একটি ভিডিয়োতে সোপিয়ানের ইশরাত আহমেদ বাবা বলেছেন, ‘‘আজ থেকে আমি আর পুলিশবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত নই।’’
রাজ্যের মুখ্যসচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন, সারা রাজ্যে ৩০ হাজার এসপিও রয়েছেন। তার মধ্যে যাঁরা পদত্যাগ করতে চাইছেন তাঁদের সংখ্যা হাতেগোনা। সরকার তাঁদের বেতন বাড়ানোর কথা ভাবছে। প্রশাসনের কর্তাদের মতে, যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেও যথেষ্ট বেতন পান না এসপিওরা। তাই তাঁদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এসপিওরা পুলিশের স্থায়ী কর্মী নন। তাঁদের মাসিক বেতন ৫ হাজার টাকা।