পরীক্ষার আগে পরীক্ষা।
বছর খানেক বাদেই জনতার দরবারে পরীক্ষা দিতে নামবেন নরেন্দ্র মোদীরা। তার প্রস্তুতি কেমন হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে এ বার পরীক্ষকের ভূমিকায় সঙ্ঘ পরিবার। গত চার বছরে বিজেপির নেতা-মন্ত্রী কে কেমন কাজ করেছেন, কোথায় মানুষের মনে ক্ষোভ রয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে দিল্লিতে সঙ্ঘ পরিবারের দফতরে।
তিন দিনের ওই চিন্তন শিবিরে আগামী এক বছর কী ভাবে, কোন রণকৌশলে সঙ্ঘ ও বিজেপি এক জোট হয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। চেষ্টা করেও গত চার বছরে মোদী সরকারের নীতি নির্ধারণের প্রশ্নে সরাসরি মাথা গলাতে পারেনি সঙ্ঘ। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে হার, কর্নাটকে সরকার গড়তে ব্যর্থতার পরে অনেকটাই ব্যাকফুটে শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব। মোদীদের সমস্যা আরও বাড়িয়েছে ক্রমবর্ধমান তেলের দাম।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপির উপর প্রভাব বাড়াতে তৎপর হয়েছে সঙ্ঘ নেতৃত্ব। তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা যে ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে, সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব। শিক্ষা ক্ষেত্রে সঙ্ঘ পরিবারের নীতি রূপায়ণে দীর্ঘসূত্রতা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বিজেপি নেতাদের। সঙ্ঘের পক্ষে বৈঠকে ছিলেন দলের শীর্ষ নেতা দত্তাত্রেয় হোসবলে ও অন্য নেতারা।
আরএসএস সূত্রের খবর, বৈঠকে বিজেপিকে জনসংযোগ বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন হোসবলেরা। তাঁদের বক্তব্য, মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছতে হবে। মানুষ যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন তা বোঝাতে হবে তাঁদের। বিজেপির পক্ষে রামলাল জানান, ইতিমধ্যেই চার বছর পূর্তি উপলক্ষে জনতার কাছে পৌঁছনোর কৌশল নিয়েছে দল। তৎপর হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে সাংসদ, এমনকি সাধারণ কর্মীরাও। দলিত সমাজকে কাছে টানতে বাড়তি জোর দিতে বিজেপিকে নির্দেশ দিয়েছে সঙ্ঘ। লক্ষ্য বৃহত্তর হিন্দু সমাজের ভোট নিশ্চিত করা।
সূত্রের খবর, বৈঠকে একাধিক বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব। সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প রূপায়ণে ব্যর্থতার কারণগুলি নিয়ে মন্ত্রকভিত্তিক আলোচনা করেন সঙ্ঘ নেতারা। বৈঠকে নিজেদের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন পীযূষ গয়াল, রবিশঙ্কর প্রসাদের মতো মন্ত্রীরা।