রামমন্দিরের নামে রথযাত্রা। অথচ প্রথম দিনেই তা ডাহা ফ্লপ!
ভিড় জমাতে তাই কৌশল বদল করল সঙ্ঘ পরিবার!
লোকসভা ভোটের আগে অযোধ্যায় রামমন্দির নিয়ে সাড়া ফেলতে গত কাল দিল্লিতে রথযাত্রা শুরু করেছে সঙ্ঘ, আর তার প্রথম দিনে লোক হল মেরেকেটে শ’খানেক! অথচ আগের দিনই দিল্লির রাজপথ ভেসে গিয়েছিল কৃষকদের মিছিলে। সঙ্ঘের মিছিলের বহর দেখে দক্ষিণের এক ধর্মগুরু আচার্য প্রমোদের কটাক্ষ, ‘‘আরএসএসের রথযাত্রা ফ্লপ হওয়ায় প্রমাণ হল, ২০১৯-এ বিজেপির রামনাম সত্য হ্যায়!’’
ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের মুখে রথযাত্রায় ভিড় বাড়াতে আজ কোমর বেঁধে নামল সঙ্ঘ। দিল্লির নানা জায়গা থেকে বাইক মিছিল বের করার পাশাপাশি নামানো হল প্রচুর বাস। ভিএইচপি-র এক নেতা বলেন, ‘‘আজ সকলকে ‘টার্গেট’ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে এমন দু’হাজার বসতি আছে, যেখানে দশ হাজারের বেশি লোক থাকেন। প্রতি বসতি থেকে চারটি করে বাস ভরে লোক আনতে হবে। শুধু সঙ্ঘ সমর্থক নন, তাঁর স্ত্রী-ছেলেমেয়েকেও আনতে হবে।’’ এতেও চিন্তা যাচ্ছে না। তাই শুধু উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা থেকেও লোক আনার পরিকল্পনা করছে ভিএইচপি।
আরও পড়ুন: রাজ্যে রাজ্যে বিক্ষোভ, পদ্মবনে বাড়ছে কাঁটা
৯ ডিসেম্বর দিল্লির রামলীলা ময়দানে বড় সভা করবে বলে ঘোষণা করেছে সঙ্ঘ পরিবার। তাদের এক সূত্রের বক্তব্য, দিল্লিতে দাগ কাটতে পারলে তবে গোটা দেশে সাড়া পড়বে। আজই যোগগুরু রামদেব বলেছেন, ‘‘রামমন্দির না হলে বিজেপির উপরে ভরসা উঠে যাবে।’’ কিন্তু মোহন ভাগবত বা সাধুসন্তরা যে ভাবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই আইন এনে রামমন্দির নির্মাণের দাবি তুলছেন, তাতে বেশি আগ্রহ দেখাননি খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তিনি বরং জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের অবস্থানের জন্য অপেক্ষার পক্ষপাতী। আজ একই সুরে কথা বলেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও।
কংগ্রেসের নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের অভিযোগ, ‘‘ভোটের আগে আরএসএস রামমন্দির নিয়ে হল্লা করে আসলে বিজেপির সুবিধা করতে চাইছে। যাতে মেরুকরণের তাস খেলা যায়।’’ কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আজ বলেন, ‘‘আমার পরিবার ষাটটি মন্দির বানিয়েছে। কোথাও কোনও সাম্প্রদায়িক সমস্যা হয়নি। কিন্তু বিজেপি মন্দির নির্মাণের থেকেও এ নিয়ে রাজনীতিতেই বেশি মগ্ন।’’ ভিএইচপি-র আন্তর্জাতিক কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমারের অবশ্য দাবি, ‘‘রাম আস্থার বিষয়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’’