Caste Census

জাতগণনা প্রসঙ্গে অবস্থান বদল আরএসএসের! তথ্যের জন্য প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তবে রাজনীতি নয়: সঙ্ঘ

গত ডিসেম্বরে আরএসএস সরাসরি জাতগণনার বিরোধিতা করেছিল। সঙ্ঘের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, ‘‘জাতগণনা দেশে সামাজিক বৈষম্য আরও গভীর করবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:২৮
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

জাতগণনার বিতর্কে সরাসতি বিরোধিতার পথ নিল না ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ’ (আরএসএস)। আগের অবস্থান থেকে সরে আসার বার্তা দিয়ে সোমবার সঙ্ঘের প্রধান মুখপাত্র সুনীল অম্বেডকর বলেন, ‘‘জাতগণনা মানুষের উন্নয়নের চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজন। তবে এটি ভোট-রাজনীতির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়।’’

Advertisement

এর পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের উদ্দেশ্যে সুনীলের বার্তা— ‘‘সরকারের উচিত তথ্য জানার উদ্দেশ্যে জাতগণনা করা। তবে জাতপাতের প্রতিক্রিয়া আমাদের সমাজে একটি সংবেদনশীল বিষয়। জাতীয় সংহতির ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।’’ প্রসঙ্গত, বিহারে জাতগণনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলাকালীন অক্টোবরের গোড়ায় মোদী পরোক্ষে জাতগণনার উদ্যোগের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘‘দেশে বিভাজন ঘটানোর চেষ্টা চলছে।’’

এর পর ডিসেম্বরে আরএসএস সরাসরি জাতগণনার বিরোধিতা করেছিল। সঙ্ঘের তরফে বলা হয়েছিল, ‘‘জাতগণনা দেশে সামাজিক বৈষম্য আরও গভীর করবে।’’ এমনকি, গত অগস্টেও আরএসএসের মুখপত্রে লেখা হয়েছিল, ‘‘জাতপাতই গোটা দেশকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে।’’ সেই সঙ্গে লেখা হয়, ‘‘জাতপাতের ব্যবস্থা ভারতীয় সমাজকে পেশা ও প্রথা অনুযায়ী ভাগ করেছে। এই শৃঙ্খলা ভারতের বিভিন্ন শ্রেণিকে এক সূত্রে বেঁধে রেখেছে।’’ তবে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত সে সময়, স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, তাঁরা তফসিলি জাতি-জনজাতি এবং ওবিসি সংরক্ষণের বিরোধী নন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement