আরএসএস শিবির বন্ধের নির্দেশ ঘিরে উত্তেজনা

আরএসএস-এর প্রশিক্ষণ শিবির বন্ধ করতে গিয়ে তোপের মুখে কাছাড় জেলার লক্ষীপুর মহকুমা প্রশাসন। পরে সার্কেল অফিসার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:০৪
Share:

আরএসএস-এর প্রশিক্ষণ শিবির বন্ধ করতে গিয়ে তোপের মুখে কাছাড় জেলার লক্ষীপুর মহকুমা প্রশাসন। পরে সার্কেল অফিসার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

Advertisement

পয়লাপুলে নেহরু উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে শুক্রবার শুরু হয়েছে আরএসএস-এর প্রশিক্ষণ শিবির। মহকুমার বিভিন্ন জায়গা থেকে ১৪৪ জন তাতে যোগ দিয়েছেন। কর্মকর্তা রয়েছেন আরও ৬০-৬৫ জন। সাত দিনের আবাসিক শিবির। আজ তৃতীয় দিনে শিবির বন্ধের নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ ওয়াইদুর ইসলাম। তিনি জানান, জেলা জুড়ে এই সময়ে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এই অবস্থায় শিবির করা যাবে না। তিনি দ্রুত সবকিছু সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন।

শুরু হয় বিতর্ক। জমতে থাকেন এলাকার লোকজন। আরএসএস কর্মকর্তা অমিতবরণ নাথ, সুবোধ শর্মা বিদ্যালয় পরিদর্শক ও পুলিশের অনুমতিপত্র দেখান। মানতে নারাজ ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁর যুক্তি, ১৪৪ ধারার মধ্যে সে সব খারিজ হয়ে যায়। টানটান উত্তেজনার মধ্যে সার্কেল অফিসার প্রদীপকুমার গুপ্ত সেখানে গিয়ে আরএসএস নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, শিবিরের জন্য শুধু পুলিশ নয়, মহকুমা প্রশাসনেরও অনুমতি নিতে হয়। এ দিনই একটি আবেদন দাখিল করতে পরামর্শ দেন তাঁদের। ১৪৪ ধারায় এ সব করা যায় না বলেও মন্তব্য করেন। তবে সমস্ত অনুমতিপত্র দেখিয়ে আরএসএস নেতারা কৈফিয়ত চাইলে সঠিক জবাব দিতে পারেনি মহকুমা প্রশাসন। পরে সার্কেল অফিসার দুঃখপ্রকাশ করে শিবির চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন।

Advertisement

আরএসএস-এর দক্ষিণ অসম প্রধান বিমলনাথ চৌধুরী শিবির বন্ধের প্রয়াসের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ‘‘দেশজুড়ে প্রতি বছর এই ধরনের কর্মসূচি চলে। কোথাও শিবির বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি শুনতে হয়নি।’’ তিনি মহকুমা প্রশাসনের সমালোচনা করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement