দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার ভাবনা রূপাকে

বিধানসভা নির্বাচনের আগে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে বিজেপি-তে গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদ দিতে চলেছেন দলের নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ২০:২৭
Share:

বিধানসভা নির্বাচনের আগে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে বিজেপি-তে গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদ দিতে চলেছেন দলের নেতৃত্ব।

Advertisement

এই মুহূর্তে রূপা রাজ্য বিজেপি-তে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে রয়েছেন। আজ পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ বলেন, ‘‘রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের যোগ্যতা রয়েছে। তাঁর যোগ্যতা অনুযায়ী তাঁর কোনও পদ পাওয়া উচিত। দল সে ব্যাপারে গুরুত্ব সহকারে ভাবনাচিন্তাও করছে।’’ এ বছর মার্চ মাসে পুরভোটের আগে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে এ ভাবেই রূপাকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কাউকে মেয়র পদের জন্য ঘোষণা না করে রূপাকেই মুখ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই এখন প্রশ্ন উঠছে, বিধানসভাতেও কি রূপাকে মুখ করে এগোতে চাইছে দল?

সিদ্ধার্থনাথ সিংহ অবশ্য স্পষ্ট করে দেন, রূপাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হলেও তাঁকে দলের সভাপতি করা হচ্ছে না। বা দলের মুখ্যমন্ত্রী মুখের কথাও ভাবা হচ্ছে না। বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য বিজেপি-র খোলনলচে বদলানো নিয়ে দলের মধ্যে থেকেই প্রবল চাপ আছে। সভাপতি পদ থেকে রাহুল সিংহের অপসারণের দাবিও রয়েছে। বিজেপি সূত্রের মতে, দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় অমিত শাহের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন। সেখানে রাহুল সিংহকে সরানোর পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তিগুলো তুলে ধরা হয়েছে। রাহুল সিংহকে সরালেও বিকল্প মুখ কাকে নিয়ে আসা হবে, তা নিয়ে দলের মধ্যেই সংশয় রয়েছে। ফলে সে দিক থেকে সভাপতি পদে রাহুল সিংহের থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

Advertisement

তবে এই গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হতে জানুয়ারি মাস হয়ে যেতে পারে। রূপাকে পদ দেওয়ার ব্যাপারে রাহুল সিংহ অবশ্য আজ বলেন, ‘‘দলে এই নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।’’ তবে ৩০ নভেম্বর অমিত শাহের সভা বাতিল হলেও ডিসেম্বরেই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে দুটি সভা করবেন বিজেপি সভাপতি। জানুয়ারি থেকেই শুরু হতে পারে নরেন্দ্র মোদীর সভা। চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে নেতাজির জন্মদিন ২৩ জানুয়ারিতে এই সভা করা যায়। প্রধানমন্ত্রী চলতি সপ্তাহের শেষেই সিঙ্গাপুর সফরে গিয়ে আইএনএ স্মারক পরিদর্শন করবেন। এই প্রথম ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী এই স্মারক দেখবেন। নেতাজির গোপন ফাইল প্রকাশ সেই সময় থেকেই প্রকাশ্যে আনা হবে। বিধানসভায় নেতাজির আবেগকেও কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। পাশাপাশি, সংসদের আসন্ন অধিবেশনে মমতাকে চাপে রাখতে তৃণমূল জমানায় ‘অসহিষ্ণুতা’র ঘটনাগুলি তুলে ধরেও সরব হবেন বিজেপি সাংসদেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement