সেই ঘর। নিজস্ব চিত্র
আট নম্বর কৃষ্ণ মেনন মার্গে অটলবিহারী বাজপেয়ীর বাংলোর পরে এ বারে সংসদ ভবনে ৮ নম্বর ঘর বরাদ্দ হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। প্রধানমন্ত্রীর ঘরের ঠিক পাশটিতে।
কৃষ্ণ মেনন মার্গের ৮ নম্বর বাংলোটিতে যাওয়ার আগেই অবশ্য বাজপেয়ী সেটির ‘নম্বর’ বদলে দিয়েছিলেন ৬। এ বারে পুরনো সংখ্যাটি আবার ফিরে পেতে পারে বাংলোটি। কারণ, দু’টি ঠিকানাতেই ৮ সংখ্যা দেখে বিজেপির অনেকেই এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, এ’টিই কি অমিত শাহের ‘লাকি নম্বর’? এর আগে রাজ্যসভার সাংসদও হয়েছিলেন ৮ তারিখে। ২৬ তারিখে গত সরকারের শপথ, যে দুটি সংখ্যা জুড়লেও আট হয়।
সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর এক পাশের ঘরটি বরাদ্দ রাজনাথ সিংহের জন্য। সেই ঘরটি রাজনাথ পেয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে। গত কয়েক দিন ধরেই দিল্লির অলিন্দে জল্পনা চলছিল, এ বারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পাওয়ার পরে কি সেই ঘরেই বসবেন অমিত শাহ? মন্ত্রিসভার বিভিন্ন কমিটিতে প্রথমে রাজনাথকে না রেখে ডানা ছাঁটার চেষ্টা হচ্ছিল। পরে অবশ্য বিতর্কে পিছু হঠতে হয়। আর একটু দূরে লালকৃষ্ণ আডবাণীর ঘরটিও এ বারে খালি। সেটি আগে বাজপেয়ীর নামে বরাদ্দ ছিল। কিন্তু সেখানেও গেলেন না অমিত শাহ। পরিবর্তে বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রীর অন্য পাশের ঘরটি। যেটি আগে সংসদীয় সচিবের ঘর ছিল।
সংসদ ভবনের এক তলায় প্রধানমন্ত্রী বসেন ১০ নম্বর ঘরে। তার পাশে ১১ নম্বরে সচিব, ১২ নম্বরে প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ আর ১৩ নম্বরে রাজনাথ সিংহ। আর অন্য পাশে ৯ নম্বরে একটি সম্মেলন কক্ষ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাঁরা দেখা করতে আসেন, তাঁদের সেখানে অপেক্ষা করতে বলা হয়। অথবা অনেককে নিয়ে কোনও জরুরি বৈঠক হলে প্রধানমন্ত্রী সেখানে সেরে নেন। আর তার ঠিক পাশেই ৮ নম্বর, যে’টি এখন অমিত শাহের জন্য বরাদ্দ হল।
লোকসভা সচিবালয় সূত্রের খবর, অমিত শাহকে আসলে তার পাশের ৭ নম্বর ঘরটি দেখানো হয়েছিল। যে ঘরে উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে বসতেন বেঙ্কাইয়া নায়ডু। পরে পীযূষ গয়ালও কিছু দিন ছিলেন। আপাত দৃষ্টিতে সেই ঘরটি ৮-এর থেকে বড়। কিন্তু অমিত শাহ নিজেই পছন্দ করেছেন ৮ নম্বর।
লোকসভা সচিবালয়ের এক কর্তা বলেন, ‘‘৮ নম্বরের অনেক আসবাবে উই ধরেছে। সেগুলি এখন বাতিল করে দু’দিনের মধ্যে নতুন করে সাজাতে হবে। কারণ, সোমবার থেকেই শুরু হয়ে যাবে সংসদের অধিবেশন।’’