ঋষি কুমার শুক্ল
সিবিআই অধিকর্তা ঘিরে আবার বিতর্কে জড়াল কেন্দ্র।
গত সন্ধ্যায় অধিকর্তা বাছতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেকে নিয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির বৈঠক বসেছিল। সূত্রের খবর, সেখানে প্রাথমিক ভাবে পাঁচজনের নাম বাছাই করা হয়। সেই তালিকায় মোদীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ওয়াই সি মোদী বা শিবানন্দ ঝা-র মতো অফিসারেরা ছিলেন না। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইয়ে স্থায়ী ডিরেক্টর না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে।
আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও খড়্গের মধ্যে ফোনে কথা হয়। বাকি দু’জন শুক্লকে মনোনীত করলেও, দুর্নীতি দমনে কাজের অভিজ্ঞতা তাঁর নেই বলে আপত্তি তোলেন খড়্গে। কারণ, চূড়ান্ত তালিকার পাঁচজনের মধ্যে একমাত্র শুক্লের দুর্নীতি দমনে কোনও অভিজ্ঞতাই নেই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘ডিসেন্ট নোট’-ও পাঠিয়েছেন খড়্গে। কিন্তু কেন্দ্র দেরি না করে শুক্লকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেয়।
ডি-কোম্পানির আবু সালেমকে পর্তুগাল থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার অভিযানে ঋষি যুক্ত ছিলেন বলে সূত্রের খবর। কলকাতায় থাকার সময় সীমান্ত পরিস্থিতি, চোরাচালান রোখার কাজেও অভিজ্ঞতা হয় তাঁর। একটি সূত্রের দাবি, শুক্লের পড়াশোনাও কলকাতায়। যদিও এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। শুক্লও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। গত বছর আইবি-র অধিকর্তা নিয়োগের সময়ও শুক্লের নাম আলোচনায় এসেছিল।
অলোক বর্মার অপসারণ ঘিরে বিতর্ক, সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধের মধ্যে সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ফেরানোই শুক্লের আসল কাজ হবে বলে সিবিআই কর্তাদের মত। অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড, টু-জি, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে মামলা, উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদবের আমলে দুর্নীতির মামলা, সারদা-নারদের মতো স্পর্শকাতর মামলার তদন্তও সামলাতে হবে তাঁকে।