ছবি রয়টার্স।
কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের পরিচালনার দায়িত্ব ত্রিবাঙ্কুর রাজ পরিবারের হাতে রাখার পক্ষে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১১ সালে কেরালা হাইকোর্ট ওই মন্দির ও তার সম্পত্তির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য একটি ট্রাস্ট তৈরি করতে কেরল সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রায় খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
ত্রিবাঙ্কুরের ভারতভুক্তির সময়েই ওই মন্দির পরিচালনার ভার ত্রিবাঙ্কুর রাজ পরিবার নিযুক্ত এক আধিকারিকের হাতে থাকার কথা মেনে নিয়েছিল ভারত সরকার। ২০০৯ সালে গুরুবায়ুর মন্দিরের ধাঁচে পদ্মনাভস্বামী মন্দির পরিচালনার জন্য ট্রাস্ট গড়ার নির্দেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক আইনজীবী। শেষ পর্যন্ত মন্দির পরিচালনার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে ত্রিবাঙ্কুর রাজ পরিবার-সহ নানা শিবির। ২০১১ সালের মে মাসে ওই মন্দিরের সিন্দুকে থাকা সম্পত্তির মূল্যায়ন করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। মন্দিরের পাঁচটি সিন্দুকে ৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা যায়। একটি সিন্দুক খোলা যায়নি। এই মামলায় আদালতবান্ধব হিসেবে কাজ করেছেন আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যম। তিনি শীর্ষ আদালতকে দেওয়া রিপোর্টে জানান, মন্দির পরিচালনার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে কাজ করছে না রাজ পরিবারের নিয়ন্ত্রণাধীন ট্রাস্ট। রাজ পরিবারের দিকেও আঙুল তোলেন তিনি।
এ দিনের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ত্রিবাঙ্কুর রাজ পরিবারের প্রয়াত রাজার মৃত্যুর পরে পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের সেবায়েত হওয়ার অধিকারী তাঁর ভাই মার্তন্ড বর্মা এবং তাঁর উত্তরাধিকারীরাই। অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসেবে তিরুঅনন্তপুরমের জেলা জজের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি মন্দির পরিচালনা করবে। মন্দির পরিচালনার জন্য দ্রুত একটি নতুন কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ত্রিবাঙ্কুর রাজ পরিবারের সদস্য গৌরী লক্ষ্মীবাই বলেন, ‘‘ঈশ্বরের ইচ্ছেই পূর্ণ হল।’’ কেরল সরকার জানিয়েছে, তারা সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে চলবে।