দোকানদার থেকে আরম্ভ করে কচিকাঁচাদেরও নাকে হাত। বিষয়টি দেখে অবাক লাগারই কথা। গাড়িতে করে যারাই এই এলাকা অতিক্রম করে যাচ্ছেন তারাই এই দৃশ্য দেখে অবাক। কী এমন হল যে সবাইকে নাক হাত দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে! কোথা থেকে এত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে?
আসলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আইসিডিএস প্রকল্পের (সুসংহত শিশু উন্নয়ন প্রকল্প) একটি গুদাম থেকে। গুদামের ভিতরে থাকা বস্তা বস্তা চাল আর শিশুদের জন্য আসা মটর পচে গিয়েছে। দুর্গন্ধের উত্স সেটাই। এ রকম দুর্গন্ধে নাকে হাত দিয়ে চলাফেরা করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। আর পচা চাল-ডাল থেকে জন্ম নিয়েছে লক্ষ লক্ষ পোকা। আশপাশের দোকান, বসতবাড়ি, এমনকী কাছাকাছি স্কুলটিতেও চলছে পোকার হামলা। ফলে এক অভাবনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে করিমগঞ্জের গিরিশগঞ্জ এলাকায়। এলাকার মানুষ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানালেও এখনও কোনও প্রতিকার হয়নি।
গিরিশগঞ্জ আইসিডিএস প্রকল্পের আধিকারিক সজল দাসের বক্তব্য, ‘‘২০১৩ সালে ২০০টির অধিক কেন্দ্রের শিশুদের জন্য চাল ও মটর এসেছিল। সে সময় কোনও কারণে তা বাচ্চাদের মধ্যে বন্টন করা হয়নি। গুদামের ভিতরেই পড়ে আছে বস্তাবন্দি চাল-ডাল।’’ পরবর্তী সময়ে তিনি গিরিশগঞ্জ আইসিডিএস প্রকল্পের দায়িত্বভার গ্রহণ করে এই খাদ্যপণ্য বন্টনের জন্য জেলাশাসকের হস্তক্ষেপ চান। জেলাশাসকের নির্দেশেই দীর্ঘ দিন গুদামজাত অবস্থায় থাকা শিশুখাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায় চাল-ডাল খাওয়ার অযোগ্য বলে জানানো হয়। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ যে এই খাদ্যপণ্যকে খাওয়ার অযোগ্য বলে জানিয়েছে, তার কোনও নথি গিরিশগঞ্জের অফিসে নেই বলে সজলবাবু জানান। ফলে তা শিশুদের মধ্যে বিলি করা যায়নি। এখন তাই পচে গিয়ে এই অবস্থা।